ঢাকা: সঠিক তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা গেলে সমাজ ও রাষ্ট্রের তৃণমূল পর্যায়ে প্রান্তিক মানুষ থেকে শুরু করে সকল স্তরের মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ডিআরইউ-সাগর রুনী মিলনায়তনে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ বিষয়ে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভের মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রবাহের ধারা অব্যাহত রাখা গেলে স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
তারা বলেন, সমাজের সকল পর্যায়ের মানুষকে নিজের তথ্য পাওয়ার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ডিআরইউ’র প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে দ্বিতীয় পর্যায়ে সপ্তম ব্যাচের কর্মশালার সূচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, তথ্য কমিশনের পরিচালক (গবেষণা, প্রকাশনা ও প্রশিক্ষণ) সাইফুল্লাহিল আজম ও ডিআরইউ’র অর্থ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুরসালীন নোমানী। এ সময় ডিআরইউ’র ক্রীড়া সম্পাদক বদরুল আলম চৌধুরী খোকন ও কল্যাণ সম্পাদক জামিউল আহসান শিপু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ডিআরইউ’র উদ্যোগে ধারাবাহিক আয়োজনের সপ্তম ব্যাচের এ কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৫০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
তথ্য মন্ত্রণালয় ও তথ্য কমিশনের সহায়তায় ডিআরইউ তার সদস্যদের মধ্যে থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রতি ব্যাচে ৫০ জন করে পর্যায়ক্রমে ৫০০ জনকে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ বিষয়ে জানাতে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে। এর আগে গত বছর প্রথম পর্যায়ে ডিআরইউ’র সদস্য ৫০০ জন সাংবাদিককে এই কর্মশালার আওতায় আনা হয়েছিল।
গত ২২ আগস্ট থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মশালা শুরু হয়ে এ পর্যন্ত ৩৫০ জন গণমাধ্যমকর্মী এই কর্মশালায় অংশ নেয়। আগামী ৪ নভেম্বর মঙ্গলবার অষ্টম ব্যাচের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৪