ঢাকা: ফেসবুকের সহায়তায় এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৪৮টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, সামাজিক এই মিডিয়ার সুযোগটিই নিয়েছে হত্যাকারীরা।
হত্যাকারীদের প্রোফাইল ঘেঁটে গবেষকরা ছয় ধরনের মানসিকতার কথা জানিয়েছেন। এরা হয় প্রতিক্রিয়াশীল, গুপ্তচর, প্রতিপক্ষ, কল্পনাপ্রবণ, শিকারি কিংবা কপট ছদ্মবেশী।
যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটির ড. এলিজাবেথ ইয়ার্ডলি ও অধ্যাপক ডেভিড উইলসন বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন উদাহরণ ঘেঁটে ছয় অপরাধীর এ তালিকা দিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী অপরাধীর ধরন।
প্রতিক্রিয়াশীল:
ফেসবুকের মাধ্যমে যে খুনগুলো করা হয়েছে, তার মধ্যে ২১.১ শতাংশ খুন প্রতিক্রিয়াশীল মানসিকতার হত্যাকারী করেছেন বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এরা ভিকটিমের ফেসবুক পোস্টে সরাসরি আক্রমণ করেন। আক্রমণাত্মক মন্তব্য পেয়ে স্বাভাবিকভাবে ভিকটিমও রাগান্বিত প্রতিক্রিয়া দেখান, আর এই সুযোগটাই নিয়ে থাকেন অপরাধী।
গুপ্তচর:
ফেসবুকের মাধ্যমে গুপ্তচর মানসিকতার অপরাধীরা করেছেন ২২.৯ শতাংশ খুন। এরা ভিকটিমের বিভিন্ন পোস্ট দেখে তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখেন। স্থান-কালসহ খুনের পরিকল্পনা তারা ফেসবুক দেখেই করে থাকেন।
প্রতিপক্ষ:
১৬.৭ শতাংশ খুন করেছেন প্রতিপক্ষ মানসিকতার অপরাধী। এরা সাধারণত ভিকটিমের সাথে এক ধরনের শত্রুতাপূর্ণ আদান-প্রদানে লিপ্ত হন। এরপর নিজেদের মধ্যকার সংঘর্ষ কৌশলে অনলাইন থেকে অফলাইনে নিয়ে শারীরিক উপস্থিতির সুযোগ খোঁজেন হত্যাকারী।
কল্পনাপ্রবণ:
কল্পনাপ্রবণ মানসিকতার অপরাধীদের ভাগে পড়েছে ১২.৫ শতাংশ খুন। এরা কল্পনাপ্রবণ বলেই ফেসবুকে এক ধরনের কল্পনার জাল বিস্তার করে থাকেন। আর চরিত্রগত দিক দিয়ে অধিকাংশ মানুষই কল্পনাপ্রবণ, তাই খুব সহজেই ভিকটিমকে নিজেদের জালে আটকে ফেলেন।
শিকারি:
১২.৫ শতাংশ খুন হয়েছে শিকারি মানসিকতার অপরাধীদের মাধ্যমে। এরা খুনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফেইক প্রোফাইল তৈরি করে ভিকটিমের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেন। ধীরে ধীরে তার সঙ্গে একটি বন্ধুতাপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যান। এরপর সুযোগ বুঝে উদ্দেশ্য হাসিল করেন অপরাধী।
কপট ছদ্দবেশী:
এরা বাকিদের তুলনায় একটু পিছিয়ে, খুন করেছেন মাত্র ৮.৩ শতাংশ। এরাও একরকম শিকারি মানসিকতার অপরাধীদের মতোই এগোন। তবে অবস্থা বুঝে এরা নিজের প্রোফাইল নিয়েও হাজির হন। নানাভাবে ভিকটিমের আস্থা অর্জন করে এক পর্যায়ে খুন করে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৪/আপডেট