ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

রবি’র গ্রাহক এখন ৩ কোটি ৩৮ লাখ

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
রবি’র গ্রাহক এখন ৩ কোটি ৩৮ লাখ

ঢাকা: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) ইন্টারনেট থেকে রাজস্ব বেড়েছে। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে গ্রাহক বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় অপারেটরটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৬ সালে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রবি ২১ দশমিক ১ বিলিয়ন টাকা জমা দিয়েছে।

এটি রবি’র মোট রাজস্বের ৪০ দশমিক ১ শতাংশ। আর্থিক প্রতিবেদনে ২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিক এবং পুরো অর্থবছরের অর্থনৈতিক ফলাফল তুলে ধরা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধনের কারণে চ্যালেঞ্জ নিয়েই ২০১৬ সালের শুরু। এতে নতুন সংযোগ কমে যাওয়ায় গ্রাহকও কমে আসে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়নি, এমন সংযোগ বাতিলের পর গ্রাহক বৃদ্ধির প্রবণতায় আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।  

একীভূতকরণের পর রবি’র গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৩৮ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ (প্রাক্কলিত) এবং রবি আবির্ভূত হয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে।

২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে মোট রাজস্ব ০ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ইন্টারনেট সেবা থেকে রাজস্ব বাড়ানোর হার ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ৩.৫জি ও ২.৫জি ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে নেটওয়ার্ক খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ এবং সাশ্রয়ী মূল্যে ডাটা অফারের ফলে ইন্টারনেট থেকে রাজস্ব বেড়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৬ সালে রবি’র পরিচালন মুনাফার (ইবিআইটিডিএ) হার ২৭ দশমিক ২ শতাংশ। নেটওয়ার্ক খাতে ক্রমাগত বিনিয়োগের ফলে রাজস্বের পরিমাণ তেমন বাড়েনি। নেটওয়ার্ক পরিচালনায় ব্যয় বাড়ানো এবং এককালীন একীভূতকরণ ফি ও চার্জের কারণে এ মুনাফা ২০১৫ সালের তুলনায় ৯ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।

দেশজুড়ে নেটওয়ার্কের আধুনিকায়নে বিনিয়োগের ফলে প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন করতে পারেনি রবি।

একীভূত হওয়ার কারণে ২০১৬ সালের তৃতীয় প্রান্তিক থেকে রবি বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গ্রাহক সেবাকে প্রাধান্য দেওয়ায় মূল্য নিয়ে বাজারে তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্যেও পূর্ববর্তী প্রান্তিক থেকে এ প্রান্তিকের রাজস্ব দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে, যা টাকার অঙ্কে ১৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন।

অন্যদিকে একীভূতকরণ-সংক্রান্ত এককালীন ফি ও চার্জের কারণে পূর্ববর্তী প্রান্তিক থেকে এ প্রান্তিকে পরিচালন মুনাফা (ইবিআইটিডিএ) ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ কম হয়েছে। দেশজুড়ে বিশেষত চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের কারণে অবচয় বাড়ানোর ফলে মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।


বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রাহকদের আরো মানসম্মত ভয়েস ও ডাটা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ৩.৫জি নেটওয়ার্কের বিস্তার এবং ২.৫জি নেটওয়ার্কের মান আরও বাড়ানোর জন্য ক্রমাগত বিনিয়োগ করে চলেছে রবি। ২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন টাকাসহ কোম্পানির কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রবি’র মোট ব্যয়ের পরিমাণ ১৮২ দশমিক ৬ বিলিয়ন টাকা। ১২ হাজার ৮৫০টির বেশি সাইট নিয়ে দেশের ৬৪টি জেলায় রয়েছে রবি’র নেটওয়ার্ক, যার মধ্যে ৭ হাজার ৭০০টির বেশি ৩.৫জি সাইট।

রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে এয়ারটেল’র সঙ্গে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার সর্বশেষ ধাপ শেষ করেছি আমরা। একীভূতকরণের ফলে গ্রাহকরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি পুরো টেলিযোগাযোগ শিল্পই উপকৃত হবে। এখন আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে দেশের ১ নম্বর নেটওয়ার্ক তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি’।

‘২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে আমরা বরাবরের মতো নানা উদ্ভাবনী ও সাশ্রয়ী পণ্য বাজারে এনেছি। একীভূতকরণের পর ‘মার্জার বোনানজা অফার’ চালু করেছে রবি। যার আওতায় ১ জিবি ইন্টারনেট, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা ৫ পয়সা/ সেকেন্ড কল রেট উপভোগ এবং একটি কিনলে আরেকটি সিম বিনামূল্যে অফার পেয়েছেন গ্রাহকরা। এছাড়া এয়ারটেল ব্র্যান্ডের গ্রাহকদের জন্য এয়ারটেল-ইয়ন্ডার মিউজিক অ্যাপ চালু করেছে রবি’।
   
তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন টাকা যা এ প্রান্তিকের মোট রাজস্বের ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ। ১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রবি এ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১৭৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন টাকা। অন্যদিকে একই সময়ে শেয়ার হোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন টাকা’।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
আরআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।