ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এসএটিআরসি’র ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা সম্পন্ন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এসএটিআরসি’র ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা সম্পন্ন এসএটিআরসি’র ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা সম্পন্ন

ঢাকা: দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ভাগাভাগিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি, ইন্টারনেট অব থিংকস, ডিজিটাল অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় শেষ হলো দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এসএটিআরসি) ওয়ার্কিং গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ সভা।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) ভবনে দুই দিনব্যাপী এ সভা শেষ হয় বুধবার (১৯ এপ্রিল)।

সভায় দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কাউন্সিলের পলিসি, রেগুলেশন ও সেবা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বিটিআরসি।



বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশ- ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভ‍ুটান, আফগানিস্তান এবং ইরানের প্রতিনিধি সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সার্ক অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ বিষয়ক নীতিনির্ধারণী এ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের উদ্বোধন করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এ সভায় এসএটিআরসি-এর কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়।
 
‘এ অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ভাগাভাগিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি, মেশিন টু মেশিন (এমটুএম) যোগাযোগ ও ইন্টারনেট অব থিংকস বিষয়ে আইসিটি রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক, ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ বৃদ্ধি ও ডিজিটাল অর্থনীতি (যার মধ্যে রয়েছে সাইবার সুরক্ষা, বিগ ডাটা ও ডাটা স্বাধীনতা), ব্রডব্যান্ডের ব্যবহার বৃদ্ধিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ভূমিকা এবং মোবাইল ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের জন্য রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ’

গত বছরের ৪-৬ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত এসএটিআরসি এর ১৭তম সভায় অ্যাকশন প্ল্যান নির্ধারণ করা হয়েছিল।

আইটিইউ (আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন) ও এপিটি (এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি) এর উদ্যোগের অংশ হিসেবে ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ এশিয়ার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে এসএটিআরসি প্রতিষ্ঠিত হয়।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি বিষয়ক বিভিন্ন নীতিমালা, প্রবিধান, নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে এ সংস্থা কাজ করে থাকে।

এছাড়া এই সংস্থা বেতার তরঙ্গ সমন্বয়, স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, রেগুলেটরি প্রবণতা, টেলিযোগাযোগ উন্নয়নের কৌশল এবং টেলিযোগযোগ সংক্রান্ত আঞ্চলিক সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী সম্পর্কে কর্মকৌশল নির্ধারণ করে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।