ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলালিংকের অডিটের জন্য বিটিআরসির চুক্তি  

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২১
বাংলালিংকের অডিটের জন্য বিটিআরসির চুক্তি  

ঢাকা: বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের নিরীক্ষা (অডিট) কার্যক্রমের জন্য নির্বাচিত অডিট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বিটিআরসি।
 
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)  চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদারের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) কমিশন কার্যালয়ে এ চুক্তি সই হয়।


 
অডিট প্রতিষ্ঠান মসিহ মুহিত অ্যান্ড কো. এর সঙ্গে ৮ কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় বাংলালিংক ইনফরমেশন সিস্টেম অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়ে বিটিআরসির চুক্তি হয়।

বাংলালিংকের হেড অফ কর্পোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড সাস্টিনিবিলিটি আংকিত সুরেকা বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি কোম্পানি হিসেবে আমরা বিটিআরসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমরা প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য অডিট ফার্মকে যথাযথ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। বর্তমান করোনা মহামারির ফলে আমরা একটি নতুন পরিবেশে কাজ করছি। এর ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও অডিট ফার্মকে আমরা এ কার্যক্রমে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করব এবং তাদের কাছ থেকেও আমরা একই প্রত্যাশা করছি।
 
বিটিআরসি জানায়, ইনফরমেশন সিস্টেম অডিট হচ্ছে একটি ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইটি) অবকাঠামো এবং ব্যবসায়িক অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণের পরীক্ষা। ইনফরমেশন সিস্টেম অডিটের উদ্দেশ্য হলো- তথ্য সিস্টেমগুলো সম্পদের সুরক্ষা, ডেটার অখণ্ডতা বজায় রাখা এবং আর্থিক ক্ৰার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কার্যকরভাবে কাজ করছে কিনা, তা পরীক্ষা করা।
 
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর ধারা ৩১ এর উপধারা ২ (জ) অনুযায়ী, কমিশনের নির্দেশ পালিত হচ্ছে কিনা, তা যাচাইয়ের জন্য পরিচালন পদ্ধতি নিরীক্ষা করানো এবং টেলিযোগাযোগ ও বেতার পরিচালনাকারীদের বা ব্যবহারকারীদের প্রতিবেদন পদ্ধতির সঠিকতা যাচাই এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা বিটিআরসিকে দেওয়া হয়েছে।
 
অপারেটরগুলোর আয়-ব্যয়ের সঠিকতা যাচাই, ডিজিটাল ও আর্থিক জালিয়াতি রোধ, টেলিযোগাযোগ আইন ও বিটিআরসির নির্দেশনার যথাযথ প্রয়োগ, সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা কমিশনের অপরিহার্য একটি দায়িত্ব।
 
এরই মধ্যে গ্রামীণফোন এবং রবির ১৯৯৭ হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইনফরমেশন সিস্টেম অডিট সম্পন্ন হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিএ ফার্ম মেসার্স তোহা খান অ্যান্ড জামান কোং কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসি এবং এনবিআরের মোট পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা থেকে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক দুই হাজার কোটি টাকা ও মেসার্স মসিহ মুহিত হক অ্যান্ড কোং কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রবির কাছে বিটিআরসি এবং এনবিআরের মোট পাওনা ৮৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা থেকে ১৩৮ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে।
 
পরে বিটিআরসি বাংলালিংকের লাইসেন্স প্রাপ্তির দিন থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিচালনা পদ্ধতি এবং আর্থিক হিসাবাদি ইনফরমেশন সিস্টেম অডিট কার্য সম্পাদনের জন্য অডিট ফার্ম নিয়োগের লক্ষ্যে বিগত ৭ ও ৮ জানুয়ারি দু'টি বাংলা এবং একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিগত ৪ ফেব্রুয়ারি নয়টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহব্যক্তকরণ পত্র দাখিল করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণ করে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট ও রিক্যুয়েস্ট ফর প্রোপোজাল মূল্যায়ন করে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ, কমিশন সভার সিদ্ধান্ত ও নেগেসিয়েশনের ভিত্তিতে সংশোধিত আর্থিক প্রস্তাব অনুযায়ী মসিহ মুহিত অ্যান্ড কো. এর সঙ্গে কমিশনের ৮ কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় বাংলালিংক ইনফরমেশন সিস্টেম অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়ে চুক্তি সম্পাদন করার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২১
এমআইএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।