ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

আইসিটিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় থাইল্যান্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
আইসিটিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় থাইল্যান্ড

ঢাকা: সাইবার সিকিউরিটি, ই-গভর্নেন্স এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা ও নলেজ শেয়ারিং বিষয়ে বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের সঙ্গে কাজ করাতে চায় থাইল্যান্ড।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সোমবার (২২ মে) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে দেশটির ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজমন্ত্রী চাইউত থানাকামানুসর্নের সঙ্গে তার দপ্তরে বৈঠককালে এ আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।

বৈঠকে দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের ডিজিটাল স্বাস্থ্য, ডিজিটাল শিক্ষা, ডিজিটাল সরকার, সাইবার নিরাপত্তা, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট, গবেষণা এবং উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় জুনাইদ আহমেদ পলক চাইউত থানাকামানুসর্নের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা তুলে ধরে ধরেন।
বাংলাদেশের জিআরপি, ই-নথি ইত্যাদির অভিজ্ঞতা এবং ডিজাইন শেয়ারের বিষয়টি তাদের কাছে বর্ননা করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য বিশেষ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ইন্টারনেট ব্যবহার, আইটি শিল্পের প্রবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে থাইল্যান্ডের মন্ত্রীকে জানান।

থাই মন্ত্রী  জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ইন্টারনেটের অনুপ্রবেশ, আইটি শিল্পের প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল গভর্নেন্সে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা শুনে অভিভূত হন।

বৈঠকে জানানো হয় থাইল্যান্ডের ডিজিটাল ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি মন্ত্রণালয়ের (MDES) গঠন-প্রকৃতি বাংলাদেশের আইসিটি ডিভিশনের মতোই যা উভয় দেশের জন্য আশাব্যঞ্জক।

প্রতিমন্ত্রী পলক জানান আইসিটিতে আঞ্চলিক শক্তি গড়ে তুলতে আমরা বিমসটেকভুক্ত সব দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি বিমসটেক দেশগুলিকে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া এবং যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশন এবং বিশেষ করে ডেটা নীতি তৈরি করতে হবে।

এসময় অন্যান্যোর মধ্যে থাইল্যান্ডের ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ উপমন্ত্রী নিউইন চোচাইয়াথিপ, মন্ত্রীর উপদেষ্টা টিটাভুন্নো, ব্যাংককে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল হাই, কাউন্সিলর মো. মাসুমুর রহমান, কাউন্সিলর ও হেড অব চেন্সারি দয়াময়ী চক্রবর্তী, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা  উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ব্যাংককে এশিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে উদ্ভাবনের ভবিষ্যত এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার সুযোগ' শীর্ষক বঙ্গবন্ধু চেয়ার সংলাপে বক্তব্য রাখেন।

এসময়ে আইটি’র প্রেসিডেন্ট, রিচার্জ চার্ট প্রফেসরস ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়:  ০০৫০ ঘণ্টা, ২৪ মে, ২০২২
এইচএমএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।