দেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হল আসুস ইপিসি’র নতুন দু মডেলের নেটবুক। একটি ১০০১পিকিউ এবং অন্যটি ই পিসি ১০০৫পিএক্স মডেল।
সহজ বহনযোগ্যতা, স্বল্প দাম এবং বহুমাত্রিক ব্যবহারিক বিবেচনায় আসুস বিশ্বে ইপিসি’র উদ্ভাবন করে। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে বিশ্বে ইপিসি’র যাত্রা শুরু হয়। এরই মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় চলমান কমপিউটার হিসেবে নেটবুক ইপিসি’র কদর বেড়েছে অপ্রত্যাশিত। এ চাহিদা আর বাজার সাফল্যেকে পুঁজি করে বিশ্বের খ্যাতনামা সব প্রাযুক্তিক পণ্য নির্মাতারা ইপিসির মানোন্নয়নে অবিরাম কাজ করছেন।
আসুস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মহিউদ্দিন আবদুল কাদের খসরু জানান, বিশ্বব্যাপী ইপিসির ধারাবাহিক সাফল্যে দেশের বাজারে প্রবেশ করল আরও দুটি নেটবুক। নতুন বৈশিষ্ট্যযুক্ত এ মডেল দুটি দামেও মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে বলে তিনি জানান।
ইপিসি ১০০১পিকিউ মডেল নেটবুক
এ মডেলের নেটবুকটি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছে বলে নির্মাতা সূত্রে উল্লেখ করা হয়। এ নেটবুকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই শিক্ষণীয় বিষয়সহ ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সুবিধা উপভোগ করতে পারবে।
এ মডেলের বৈশিষ্ট্য ১.৬৬ গিগাহার্টজ গতির ইনটেল অ্যাটম প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র্যাম, ১৬০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক, ১০.১ ইঞ্চির মূল পর্দা, বিল্টইন অডিও, ল্যান, ওয়েবক্যাম, ওয়াইফাই, ২টি ইউএসবি ২.০ পোর্ট, মেমোরি কার্ড রিডার, উইন্ডোজ সেভেন স্টার্টার অপারেটিং সিস্টেম। ব্যাটারি ব্যাকআপ সর্বোচ্চ ৮.৫ ঘণ্টা। এ মুহূর্তে দাম ২৭ হাজার টাকা।
ইপিসি ১০০৫পিএক্স মডেল নেটবুক
এ মডেলের নেটবুকে আছে ১০.১ ইঞ্চির এলইডি ব্যাকলিট ম্যাট ডিসপ্লে। এতে সরাসরি সূর্যের আলোতেও নেটবুকের ডিসপ্লেতে কাজ করা যায়।
বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আছে ১.৬৬ গিগাহার্টজ গতির ইনটেল অ্যাটম প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র্যাম, ৩২০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক, বিল্টইন অডিও, ল্যান, ওয়েবক্যাম, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, ২টি ইউএসবি ২.০ পোর্ট, মেমোরি কার্ড রিডার। ব্যাটারি ব্যাকআপ সর্বোচ্চ ৭ ঘণ্টা। এ মুহূর্তে দাম ২৬ হাজার ৫০০ টাকা।
এ দু মডেলের নেটবুক উন্মোচনে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ব্র্যান্ডের চেয়ারম্যান আবদুল ফাত্তাহ, পরিচালক জসিম উদ্দিন খন্দকার, আসুস ই ফ্যামিলি পিসির পণ্য ব্যবস্থাপক এম কে পাশা খান, আসুস বাংলাদেশের ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার জিয়াউর রহমান।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১০