বেশ কয়েকটি দেশ নিজেদের কূটনীতিক ও নাগরিকদের সুদান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। খার্তুম এখন সহিংসতার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য রোববার ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা তাদের কূটনীতিকদের নিয়ে গেছে। ইতালি, বেলজিয়াম, তুরস্ক, জাপান ও নেদারল্যান্ডস বলেছে, তারাও লোকজনকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করছে রোববারই।
দূতাবাস ছাড়ার চেষ্টা করার সময় ফ্রান্সের একজন দূত গুলির শিকার হন বলে খবর পাওয়া গেছে। পরে তাকে ফিরে যেতে হয়েছে। সুদানের সেনাবাহিনী ও বিরোধী আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) একে অপরকে হামলার দোষ দিচ্ছে।
বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়য় বলেছিল যে, তারা নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ক বলছে, তারা রোববার দ্রত এক অভিযানে চিনুক হেলিকপ্টারে করে একশর কিছু বেশি লোককে ফিরিয়ে নেওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের খার্তুম দূতাবাস এখন বন্ধ। এক টুইটে বলা হয়েছে, বেসরকারি মার্কিন নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া সরকারের পক্ষে যথেষ্ট নিরাপদ নয়।
গত কয়েকদিন ধরে চলা দুই বাহিনীর সংঘাতে কয়েক দফায় অস্ত্রবিরতির ঘোষণা এলেও কোনো পক্ষ তা মানেনি। এমনকি গেল শুক্রবার ঈদ উপলক্ষে শুরু হওয়া তিনদিনের অস্ত্রবিরতিও মানা হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, চার শতাধিক লোকের প্রাণহানি হয়েছে। কয়েক হাজার আহত হয়েছেন। তবে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ বলছে, ২০ হাজারের বেশি লোক, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু সুদান থেকে শাদে আশ্রয় খুঁজছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০২৩
আরএইচ