ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

চ্যালেঞ্জে এরদোয়ান, জার্মানিতে ভোট দিচ্ছেন ১৫ লাখ তুর্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
চ্যালেঞ্জে এরদোয়ান, জার্মানিতে ভোট দিচ্ছেন  ১৫ লাখ তুর্কি

জার্মানিতে বসবাসকারী তুরস্কের নাগরিক রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের কট্টর সমর্থক। কিন্তু এবার এরদোয়ান কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।

সমীক্ষা বলছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রীতিমতো লড়াই হচ্ছে। কিছু সমীক্ষা এরদোয়ানকে পিছিয়ে রেখেছে।

এবার তিনি জার্মানিতে একই রকম সমর্থন পাবেন কি না, বোঝা যাচ্ছে না। কারণ, বিরোধী প্রার্থী কেমাল কিরিচদারোলু এবার তুরস্কে প্রচার-প্রচারণা ও সমর্থনে অনেক দূর এগিয়ে আছেন।

এরই মধ্যে জার্মানিতে বসবাসকারী তুরস্কের মানুষ প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচনে ভোট দিতে শুরু করেছেন। জার্মানিতে বসেই তারা এ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন।

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের নির্বাচন আগামী ১৪ মে। কিন্তু দেশের বাইরে বসবাসকারী নাগরিকরা বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে ভোট দেওয়া শুরু করেছেন। জার্মানিতে ১৫ লাখ তুরস্কের নাগরিক বসবাস করেন। তারা  বৃহস্পতিবার থেকে ভোট দিতে শুরু করেছেন।

আগামী ৯ মে পর্যন্ত জার্মানিতে বসবাসকারী তুরস্কের মানুষ ভোট দিতে পারবেন। জার্মানিতে তুরস্কের মানুষের মোট সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ। তার মধ্যে ১৫ লাখ মানুষ তুরস্কের নাগরিক। তারাই ভোট দিতে পারবেন।

গতবার জার্মানিতে থাকা ৬৫ শতাংশ তুরস্কের নাগরিক এরদোয়ানকে ভোট দিয়েছিলেন।  

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তুরস্ককে জানিয়ে দিয়েছে, মোট ১৬টি ভোটকেন্দ্র অনুমোদন করেছে সরকার। এর আগে কখনো এতগুলো ভোটকেন্দ্র হয়নি। ২০১৮ সালে ১৩টি ভোটকেন্দ্র ছিল।

বার্লিন, কোলন, স্টুটগার্ট, নুরেমবার্গ-সহ যে সব শহরে তুরস্কের কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা আছেন, সেখানে ভোটকেন্দ্র করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এরদোয়ান ও জার্মানির সম্পর্ক তিক্ত ছিল। এরদোয়ান অভিযোগ করেছিলেন, জার্মানি তার প্রচারে বাধা দিচ্ছে।

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবারও জানিয়ে দিয়েছে, জার্মানির নিয়ম হলো, নির্বাচনের ৩০ দিন আগ পর্যন্ত কোনো বিদেশি রাজনীতিক তাদের দেশে প্রচার করতে পারেন। তারপর নয়।

২০১৪ সালে কোলনে এরদোয়ানের একটা সভা ছিল। সেখানে তিনি ভোটের আগে তার সমর্থকদের জড়ো করেছিলেন। এরদোয়ানের দাবি ছিল, ওটা ভোটের প্রচার ছিল না।  ইউরোপে ইউনিয়ন অব টার্কিশ ডেমোক্র্যাটের (ইউইটিডি) দশ বছর পূর্তি উৎসব পালন করেছেন তিনি। জার্মানির বহু রাজনীতিক এরদোয়ানকে ওই  সভা বাতিল করার আবেদন জানিয়েছিলেন। এরপর ২০১৮ সালে তার প্রচার নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।

২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি জার্মানিতে প্রায় ৬৫ শতাংশ ভোট পান। অথচ, আমেরিকায় তিনি পান ১৭ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ২১, ইরানে ৩৫ ও কাতারে ২৯ শতাংশ ভোট।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।