পেনশন সংস্কার ইস্যুতে ফ্রান্সে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সোমবার ট্রেড ইউনিয়নগুলো মে দিবসের পদযাত্রাকে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে রূপ দেওয়ার পর এই সংঘর্ষ বাঁধে।
প্যারিস ও অন্যান্য শহরে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোড়ে এবং বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। অবসরের সময়সীমা বাড়ানো নিয়েই লোকজন বিক্ষোভে নামে।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিরাল্ড ডারমানিন বলেন, প্রধান ইউনিয়ন-নেতৃত্বাধীন মিছিলের ফাঁকে বেশ কয়েকটি শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে ১০৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে ২৯১ জনকে।
তিনি বলেন, প্যারিসে ২৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আর প্যারিস থেকে আটক করা হয়েছে ১১১ জনকে। পুলিশের এক কর্মকর্তা পেট্রোল বোমার সামনে পড়ে গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছেন।
ফ্রান্সে অবসরে যাওয়ার বয়স ৬২ বছর থেকে ৬৪ বছর বাড়ানোর নিয়মের প্রতিবাদে দেশজুড়ে এই বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা হাতে ব্যানার নিয়ে সামাজিক বিচারের আহ্বান জানান এবং তাদের দাবি- হয় প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর পদত্যাগ নয়তো এই পেনশন আইনের প্রত্যাহার।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী লিসাবেথ বোর্নে টুইটে এই সহিংসতাকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
গেল ১৫ এপ্রিল ফ্রান্সের সাংবিধানিক পরিষদ পেনশন সংস্কারে সমর্থন দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আইনটি পাস হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৩
আরএইচ