ইরান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট তেল ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা বিষয়ক বেশ কয়েকটি চুক্তিতে সই করেছেন। অর্থনৈতিক বন্ধন শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে দুই মিত্র দেশ এসব চুক্তি সম্পন্ন করল।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বিশাল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদল নিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। খবর আল জাজিরা।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম কোনো ইরানি প্রেসিডেন্ট দেশটি সফরে গেলেন। এর আগে ২০১০ সালে দামেস্কে গিয়েছিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট।
ইরানের প্রতিনিধিদলে ছিলেন পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, তেল, সড়ক ও শহর উন্নয়ন ও টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরের মন্ত্রীরা।
এ ছাড়া রাইসির সঙ্গে ইরান থেকে আসা বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ীরা ছিলেন বলে জানিয়েছেন আল জাজিরার সাংবাদিক দোরসা জব্বারি।
তেহরান থেকে তিনি জানান, ইরানি প্রেসিডেন্ট অন্তত ১৫টি চুক্তিতে সই করেছেন। দুই দেশের মধ্যকার লাভজনক কয়েকটি চুক্তিও এর মধ্যে রয়েছে।
এসব চুক্তি সিরিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেশটির অর্থনীতি গত কয়েক দশকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি সংকটও নানা সমস্যা তৈরি করছে দেশটিতে।
২০১১ সাল থেকে আসাদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে ইরান। একইসঙ্গে দ্বন্দ্বকে তার পক্ষে নেওয়ার ক্ষেত্রেও ইরান ভূমিকা রেখেছে। ইরান সিরিয়ায় সামরিক পরামর্শকসহ হাজারো যোদ্ধা পাঠিয়েছে আসাদের পক্ষে যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে।
প্রধান দুই মিত্র রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় সিরিয়া সরকারের বাহিনী গত কয়েক বছরে কিছু অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রেল কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরেই চাইছে প্রতিবেশী ইরাক ও সিরিয়ায় নেটওয়ার্ক গড়তে চাইছে ভূমধ্যসাগরে সিরিয়ার লাতাকিয়া বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। সিরিয়ার বিরোধী দল ও তেহরানের সমালোচকরা বিষয়টিকে ইরানের রাজনৈতিক প্রভাবের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৩
আরএইচ