পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এই গ্রেপ্তার ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে।
বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় বিক্ষোভকারী সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৫ জন। করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরে সহিংসতায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস শেল নিক্ষেপ করেছে।
পাকিস্তানের টেলিকমিউনিকেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। ইসলামাবাদসহ অন্যান্য শহরে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবারের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের ক্লাস বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
ইমরান খানের প্রায় চার হাজারের মতো সমর্থকরা লাহোরে সেনাবাহিনীর শীর্ষ আঞ্চলিক কমান্ডারের সরকারি বাসভবনে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন। তারা দরজা-জানালা, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। সৈন্যরা সহিংসতা এড়াতে পিছু হটে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন এবং প্রধান প্রধান সড়ক আটকে দিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরের প্রধান ফটকে ভাঙচুর চালিয়েছে। সেখানে সৈন্যরা সংযম দেখিয়েছে। শতশত বিক্ষোভকারী খানপন্থী স্লোগান দেন এবং সামনে ভবনের দিকে এগিয়ে যান।
ইমরান খানকে ইসলামাবাদের কাছে রাওয়ালপিন্ডিতে নেওয়া হয়েছে। সেখানেও ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর অফিসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ ও কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
আরএইচ