নিহত হয়েছেন রাশিয়ার সশস্ত্র ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। তিনি না থাকায় গোষ্ঠীটি কার্যত দুর্বল হয়ে পড়েছে।
দ্যা গার্ডিয়ান বলছে, কোনো বিলম্ব না করে দ্রুত রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে ওয়াগনার যোদ্ধাদের হলফনামায় স্বাক্ষর করতে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। এ ব্যাপারে ডিক্রিও জারি করেছেন তিনি।
ওয়াগনার বাহিনীর হাজার হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা ও অন্যান্য সামরিক গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণে নিতেই পুতিন এ আদেশ দিয়েছেন।
ক্রেমলিনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গতকাল শুক্রবার (২৬ আগস্ট) এ ব্যাপারে ডিক্রি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানে যারা সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ বা সহায়তা করছে, তাদের বাধ্যতামূলক রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে হলফনামায় সই করতে হবে।
ওয়াগনার যোদ্ধারা রুশ সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের ‘আদেশ মানতে বাধ্য’ বলেও ডিক্রিতে উল্লেখ করা হয়।
গত বুধবার (২৩ আগস্ট) রাশিয়ায় একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ১০ আরোহী নিহত হন। দাবি করা হচ্ছে উড়োজাহাজটিতে ইয়েভজেনি প্রিগোজিন ছিলেন। কেননা, ১০ আরোহীর তালিকায় প্রিগোজিনের নাম রয়েছে। এ ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) প্রিগোজিনসহ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান পুতিন।
এদিকে, ইউক্রেনসহ অনেক পশ্চিমা কর্মকর্তারা মনে করছেন রুশ প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই ওই উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করা হয়েছে। গত জুনে রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের উৎখাত করতে প্রিগোজিনের নেতৃত্বে ওয়াগনার বাহিনী যে বিদ্রোহ করেছিল তার বদলা নিতেই এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলেও দাবি রয়েছে। প্রিগোজিনকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়; এবং পুতিন এ ধরনের মানুষদের ক্ষমা করেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৩
এমজে