দীপাবলির দিনে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে রাতের খাবার সাড়ছিলেন অজিত। এসময় তারা নববর্ষ উদযাপনের জন্য সমুদ্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।
চরিত্রের নাম অজিত মৌর্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করেই পেয়েছেন পরিচিতি। তবে ভারতীয় পুলিশ বলছে তিনি একজন বড় মাপের প্রতারক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা মূলক স্ক্যাম পরিচালনা করেই খরচ চালান দুই স্ত্রী, নয় সন্তান এবং ৬ জন প্রেমিকার।
অজিতের বিরুদ্ধে ভুয়া পঞ্জি স্কিমের মাধ্যমে প্রতারণা, জাল নোটের ব্যবসা, ভুয়া ইন্স্যুরেন্সসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬টি মামলা রয়েছে।
ধর্মেন্দ্র কুমার নামের এক ব্যক্তি, দ্বিগুণ করে দেওয়ার নামে তার ৩ লাখ টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগে একটি এফআইআর দায়ের করলে পুলিশ এই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের তথ্য মতে, মুম্বাইতে আজিত বাসাবাড়িতে ফলস সিলিং তৈরির কাজ করত। ২০০০ সালে সে সংগীতা নামের এক নারীকে বিয়ে করে। এই সংসারে তার রয়েছে ৭ সন্তান। ২০১০ সালে এই চাকরি হারালে নিজ গ্রাম গোন্ডাতে ফিরে যায় অজিত। কিন্তু সেখানে ভাল কিছু করতে না পেরে ২০১৬ সালে চুরি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পরে। এরপর থেকে এই পথেই শুরু হয় তার পথ চলা।
দুই বছর পর সুশীলা নামে এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় অজিতের। এই দুজন মিলে শুরু করেন প্রতারণার ব্যবসা। আরও কয়েক জনের সঙ্গে মিলে পঞ্জির মত ভুয়া স্কিম, জাল নোটের ব্যবসা করে রাজকীয় জীবনযাপন করতে শুরু করে এই জুটি। ২০১৯ সালে সুশীলাকে বিয়ে করে অজিত। এই ঘরে তার রয়েছে দুই সন্তান।
এই প্রতারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে অজিতের দুটি বাড়ি রয়েছে একটিতে তার প্রথাম স্ত্রী সঙ্গীতা ও ৭ সন্তান থাকে। অপরটিতে সুশীলা থাকেন ২ সন্তান নিয়ে। অজিত নিজে অপর একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। তাছাড়া অজিতের কল রেকর্ড থেকে তার আরও ৬ প্রমিকার খোঁজ পায় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময় ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৩
এমএম