মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরলে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের। তবে সে নির্বাচন দেশজুড়ে নাও হতে পারে বলে সংশয় প্রকাশ করেছেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং।
মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তুমুল লড়াই চলছে। অনেক অঞ্চলই এখন বিদ্রোহীদের দখলে।
তিন বছর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্ষমতায় থাকা সামরিক বাহিনী বলেছিল, তারা দেশকে গণতান্ত্রিক শাসনে ফিরিয়ে আনার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবে। সেই পরিকল্পনা এখনও আছে বলে রাশিয়ার তাস নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং।
মিয়ানমারে তরুণদের নেতৃত্বে গণতন্ত্রপন্থী অভ্যুত্থান একটি সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনে রূপ নেওয়ায় ১৯৬২ সালে সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশে প্রথমবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণের পর জেনারেলরা এবার তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন।
মিন অং হ্লাইং বলেন, রাষ্ট্র যদি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী দেশব্যাপী নির্বাচন না হলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগে যত বেশি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
দেশটিকে স্থিতিশীল করা এবং বিরোধীদের দমন করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে জান্তা বারবার প্রতি ছয় মাস অন্তর জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ায়।
অভ্যুত্থানের পর থেকে ২৩ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ায় ছায়া সরকার ও জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের সঙ্গে জোটবদ্ধ মিলিশিয়াদের দমন করতে ভারী কামান ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে দেশটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক