বিশ্বের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্য সংস্থা নেসলে বেশ কয়েকটি দেশে শিশুদের উপযোগী নিডো ও সেরেলাকসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে চিনি ও মধু মেশাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে পাবলিক আই নামে একটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় শিশুদের উপযোগী বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে নেসলে চিনি মেশাচ্ছে। এ প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসতেই নেসলে ইন্ডিয়ার শেয়ারের দর প্রায় পাঁচ শতাংশ পড়ে গেছে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল)।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ভারতে নেসলের সর্বাধিক বিক্রিত দুটি বেবি-ফুড ব্র্যান্ডে উচ্চ মাত্রায় চিনি রয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও অন্যান্য উন্নত দেশে এ ধরনের পণ্য আবার চিনিমুক্ত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতে ১৫টি সেরেলাক বেবি প্রোডাক্টের সবগুলোতেই প্রতি সার্ভিংয়ে গড়ে প্রায় তিন গ্রাম চিনি থাকে। একই পণ্যটি জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে চিনি মুক্ত। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভারতে ২০ হাজার কোটি টাকার সেরেলাক পণ্য বিক্রি করেছে নেসলে।
নেসলের বেবি-ফুডের প্যাকেটে পুষ্টিগত বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়। অর্থাৎ, খাবারে কতটা ভিটামিন বা খনিজ পদার্থ আছে। এতে চিনির মাত্রা বা পণ্যে ব্যবহৃত উপকরণ সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি ও মধু মেশানো থাকা খাবার শিশুরা খেয়ে ওবেসিটি ও অন্যান্য ক্রনিক রোগের শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা।
এদিকে এসব বেবি-ফুডে অতিরিক্ত চিনি থাকায় শিশুরা তাতে আসক্ত হয়ে পড়তে পারে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ বিষয়ে নেসলে ইন্ডিয়ার মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় স্ট্যান্ডার্ড মেনে শিশুদের খাবারে চিনির পরিমাণ কমানো হয়েছে। বিগত ৫ বছরে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত চিনির পরিমাণ কমানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিতর্কের মুখে নেসলে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের বেবি ফুড পণ্যগুলিতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, আয়রন ইত্যাদির মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি আছে। শৈশবকালের জন্য শিশুর যা যা প্রয়োজন, তা এতে আছে। আমরা কখনই আমাদের পণ্যের পুষ্টির মানের সাথে আপস করি না এবং ভবিষ্যতেও কখনো তা করব না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
আরএইচ