ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আইআরএনএ বলেছে, পাকিস্তানে ইব্রাহিম রাইসির সফরে বাণিজ্য, সংযোগ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ। রাইসির সফরে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য বাড়ানো নিয়ে আটটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির তিনদিনের সফরের পর বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পাকিস্তান সফর শেষে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। এই সফরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সেখানে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পও উদ্বোধন করবেন রাইসি।
জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মোট ৫১ কোটি ৪০ লাখ ডলার। ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন সরকারের সঙ্গে এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তিটি করেছিল তেহরান।
প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয়ের একটি অংশ পরিশোধ করার পর যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানি অর্থায়ন আটকে যায়। পরে শ্রীলংকা নিজ খরচে প্রকল্প শেষ করে।
এদিকে যে দেশগুলো ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করছে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির সম্মুখীন হবে বলে আবারও সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
পাকিস্তানের সঙ্গে ইরানের ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমরা ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করার সময় সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিই। তবে পাকিস্তান সরকার তাদের নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
এমএম