ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিক্ষোভকারীদের চাপে সব মন্ত্রী বরখাস্ত করলেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৪
বিক্ষোভকারীদের চাপে সব মন্ত্রী বরখাস্ত করলেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো তার সব মন্ত্রী এবং অ্যাটর্নি-জেনারেলকে বরখাস্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে তিনি তার মন্ত্রিপরিষদের সব সদস্যকে বরখাস্ত করেন।

 

প্রেসিডেন্ট বলেন, কেনিয়ানদের কথা শোনা এবং আমার মন্ত্রিসভার সামগ্রিক মূল্যায়নের পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি এখন সবার মতামতের ভিত্তিক সরকার গঠনের জন্য ব্যাপকভাবে সবার পরামর্শ নিবো।

এদিকে মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হলেও ডেপুটি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এ সিদ্ধান্তে প্রভাবিত হবে না। কারণ তিনি আইনত বরখাস্ত হতে পারেন না। সেই সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদসচিবও তার দায়িত্বে বহাল থাকবেন, যিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও।

রুটো বলেন, সরকারি কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে ঊর্ধ্বতন বেসামরিক কর্মচারীদের তত্ত্বাবধানে চলবে। সেইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন একটি নতুন সরকার বিভিন্ন সেক্টর, রাজনৈতিক নেতা এবং কেনিয়ানদের সাথে সরকারি এবং ব্যক্তিগত উভয় ক্ষেত্রেই পরামর্শ নিয়ে কাজ করবে।

একটি টেলিভিশনে ভাষণে প্রেসিডেন্ট অ্যাটর্নি জেনারেলকেও বরখাস্ত করেন এবং বলেন মন্ত্রণালয়গুলো তাদের স্থায়ী সচিবদের দ্বারা পরিচালিত হবে।

কেনিয়ায় তিন সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছিল। গত ২৫ জুন প্রস্তাবিত কর বৃদ্ধির জন্য একটি অর্থ বিল পাস হওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা সংসদে প্রতিবাদের ঝড় তুলেন। বিক্ষোভে ৩০ জনেরও বেশি লোক মারা যায়। যা পরবর্তীতে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে পরিণত হয়।

ভাষণে তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার কার্যক্ষমতার সামগ্রিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে সবাইকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নতুন সরকার তাকে ‘ঋণের বোঝা মোকাবিলা করার জন্য, দেশীয় সম্পদ বাড়ানোর জন্য আমূল কর্মসূচির প্রয়োজনীয়, জরুরি এবং অপরিবর্তনীয় বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে। এছাড়া কাজের সুযোগ সম্প্রসারণ, অপচয় এবং সরকারি সংস্থার দুর্নীতি ধ্বংস করতে সহায়তা করবে।

প্রবীণ দুর্নীতিবিরোধী কর্মী জন গিথংগো বলেছেন, কেনিয়ানরা মন্ত্রিসভায় ব্যাপক পরিবর্তন চেয়েছিল। আসুন দেখি এখন কি হবে যদি নতুন মন্ত্রীরা দুর্নীতি এবং তার প্রশাসনের বাড়াবাড়ি এবং বিক্ষোভের সময় ৩৯ জন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বড় সমস্যাগুলো কিভাবে মোকাবিলা করেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর মতো ঋণদাতাদের ঘাটতি কমানোর দাবি এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে কঠিন চাপে থাকার মধ্যে রুটো ধরা পড়েছেন।

গত সপ্তাহে তিনি কর বৃদ্ধি প্রত্যাহারের ফলে সৃষ্ট প্রায় ২.৭ বিলিয়ন ডলার বাজেটের ঘাটতি পূরণ করতে প্রায় সমান পরিমাপে ব্যয় হ্রাস এবং অতিরিক্ত ঋণের প্রস্তাব করেছিলেন।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, ট্যাক্স রোলব্যাকের অর্থ হলো কেনিয়া আইএমএফ এর লক্ষ্যমাত্রা মিস করতে পারে যদিও সরকারের ঋণ নেই।

সূত্র: বিবিসি

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।