২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারতে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই শান্তি আসবে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) পেট্রাপোল স্থলবন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন ও ‘মৈত্রী দ্বার’ উদ্বোধন করতে এসেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এ শীর্ষ নেতা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
নরেন্দ্র মোদীর সরকার পশ্চিমবাংলার সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে, এখানকার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিজেপি সরকার তার চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না।
বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, স্থলপথে দুই দেশের মধ্যে মোট বাণিজ্যের ৭০ শতাংশ হয় পেট্রাপোল দিয়ে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ও ব্যস্ততম স্থলবন্দর, যা ভারতের বাণিজ্য ও চলাচল বাড়ায়। পেট্রাপোলে সমন্বিত চেকপোস্ট, যাত্রী টার্মিনাল বিল্ডিং ও মৈত্রী দ্বার উদ্বোধন প্রতিটি সেক্টরকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।
অমিত আরও বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে, মোদীজি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং খেলাধুলার মতো ক্ষেত্রে অনেকগুলো নতুন কর্মসূচি শুরু করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে আমাদের একটি যৌক্তিক উপসংহারে নিয়ে গেছেন। আজ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এলপিএআই) দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন, ভাষা-সংস্কৃতি ও সাহিত্যের আদান-প্রদানের সুবিধা দিচ্ছে।
মৈত্রী দ্বার প্রতিদিন অন্তত ৭০০ ট্রাকের বেশি হ্যান্ডলিং ক্ষমতাসহ পরিবহণ পরিষেবা মসৃণ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সচিব ও এলপিএআইয়ের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল, আগরতলা, শ্রীমানপুর সুতারকান্দি, সাব্রুমসহ ১২টি স্থলবন্দর চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
এমজে