ঢাকা: ভারতের বেঙ্গালুরুতে একটি মার্কেটে শপিং করার সময় এক নারী সমাজকর্মী ও দুই নারী নিরাপত্তারক্ষীর হাতিয়ে নেওয়া অর্থ ফেরত পেলেন শাহিদা বেগম নামে এক বাংলাদেশি নারী।
বেঙ্গালুরুর হেবাগোদির ওই মার্কেটে জুতোর বিল পরিশোধ নিয়ে বিতর্কের জেরে পুলিশ পরিচয়ধারী ওই সমাজকর্মী নারী দুই নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে শাহিদার কাছ থেকে ওই অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়।
শাহিদা ও মার্কেটের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রোববার (৩১ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, ৩২ বছর বয়সী শাহিদার বাড়ি বাংলাদেশের বালিগাঁ গ্রামে। তিনি তার স্বামী মোহাম্মদ মুজিবুর রহমানকে চিকিৎসা করাতে ১৫ দিন ধরে ব্যাঙ্গালুরুতে আছেন। তার সঙ্গে মার্কেটে বিতর্কে জড়ানো সমাজকর্মী দাবিদার নারীর নাম মনজুলা। শাহিদার কাছ থেকে মোট ৬৫ হাজার রুপি ও ৫ হাজার বাংলাদেশি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার আগে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দুই নারী নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে মনজুলা ওই বাংলাদেশি নারীকে প্রকাশ্যে তল্লাশি করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
শাহিদা সংবাদমাধ্যমকে জানান, হেবাগোদির ডি-মার্ট নামে ওই মার্কেটের একটি দোকান থেকে তিনি এক জোড়া জুতো নিয়ে বেরিয়ে গেলে সেটার বিল পরিশোধ নিয়ে বিতর্কে জড়ান মনজুলা। তিনি দাবি করেন শাহিদা ওই জুতো জোড়ার বিল পরিশোধ করেননি। এরপর তাকে মারধর করে মার্কেটে প্রকাশ্যে তল্লাশি চালান। তারপর শাহিদার কাছ থেকে ৬৫ হাজার রুপি ও ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন মনজুলা ও দুই নারী নিরাপত্তারক্ষী।
পরে শাহিদার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমাজকর্মী পরিচয়ধারী মনজুলাকে আটক করে হেবাগোদি পুলিশ। একইসঙ্গে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ উদ্ধার করে শনিবার শাহিদাকে ফেরত দেয়।
শাহিদা জানান, তার স্বামীর চিকিৎসা প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগির দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
হেবাগোদি পুলিশ বলছে, প্রতারক মনজুলার সঙ্গে থাকা ওই দুই নারী নিরাপত্তারক্ষী মার্কেটের আওতায় কাজ করলেও সেদিন তাদের ডিউটি ছিল না বলে কার্যতালিকায় দেখা গেছে। তারপরও এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে ওই দুই নারীকেও বিচারের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৫
এইচএ/