ঢাকা: শিল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলনে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন ও সন্ত্রাসবাদকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
রোববার (০৭ জুন) থেকে জার্মানিতে শুরু হয়েছে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭’র বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন।
জার্মানির বাভারিয়ান আল্পসের ক্রুয়েন এলাকায় পিকচারেসকুই এলমাউ হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে অংশ নেন স্বাগতিক জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি, কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
একসময় রাশিয়াও এই জোটবদ্ধ ছিল। তখন এর নাম ছিল জি-৮। পরে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নিলে তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে এর নাম হয় জি-৭।
দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি হ্রাসে একটি চুক্তিতে যাওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার দরিদ্র দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তারও প্রস্তাব করেন তিনি এসময়।
এছাড়া নাইজেরিয়া, তিউনিসিয়া ও ইরাকে মৌলবাদী সন্ত্রাসের বিষয়েও আলোচনা হয় এ বৈঠকে। এসময় ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি, নাইজেরীয় প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি ও তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি সাইদ এসেবসির সঙ্গে আলোচনায় বসেন জি-৭ নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে এই তিন দেশে ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও পশ্চিম আফ্রিকার জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম সম্পর্কে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।
এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে অবস্থান পরিবর্তন না করলে রাশিয়ার ওপর ‘নিষেধাজ্ঞা’ আরও কঠোর করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে সোমবারের আলোচনা থেকে।
এসময় নেতারা বলেন, ইউক্রেনে শান্তিচুক্তি প্রতিষ্ঠা পেলে অন্যরকম কিছু ভাবা যেতো। কিন্তু সাম্প্রিতিক সহিংসতা নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোরের ব্যাপারেই ভাবতে বাধ্য করছে।
অন্যদিকে, নিষ্কৃতি তহবিল পেতে একটি চুক্তিতে যাওয়ার ব্যাপারে খুব বেশি সময় হাতে নেই বলে গ্রিসকেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর।
সম্মেলনের সমাপনী বিবৃতিতে আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, খুব বেশি সময় নেই। আমাদেরকে এ বিষয়ে আরও কাজ করতে হবে।
ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড (আইএমএফ) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঋণদাতাদের কাছ থেকে ৭.২ বিলিয়ন ইউরো (৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) নিষ্কৃতি তহবিল পেতে একটি চুক্তিতে যাওয়া গ্রিসের জন্য জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৫
আরএইচ