ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মায়ানমারের নির্বাচনে জয়লাভের দাবি সুচির দলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৫
মায়ানমারের নির্বাচনে জয়লাভের দাবি সুচির দলের ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: মায়ানমারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভের দাবি করেছে সেদেশের বিরোধী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টি। সোমবার দিনেরে শেষে ভোটের ফলাফল ঘোষণা শুরু হতেই বিভিন্ন আসনে সুচির দলের প্রার্থীদের খবর আসতে থাকে।

ইতোমধ্যেই প্রধান নগরী ইয়াঙ্গুন সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠেছেন সুচির সমর্থকরা।

গত দুই দশকেরও বেশি সময় পর মায়ানমারে অনুষ্ঠিত গণতান্ত্রিক নির্বাচনে দেশটির প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার ভোট প্রদান করেন। সোমবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সুচির দল এনএলডি গণনা করা ভোটের ৭০ শতাংশ পেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

এর আগে রোববার কোনো ধরনের বাধা বিঘ্ন ও অঘটন ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয় মায়ানমারের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোট জালিয়াতি কিংবা বড় ধরনের সহিংসতার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে নির্বাচন কমিশনে ভোটগ্রহণে অনিয়ম সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযাগ করেছে সুচির দল এনএলডি। নির্বাচন কমিশন প্রধান উ তিন আই বলেন, এ পর্যন্ত অনিয়মের ৪৮টি অভিযোগ রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।

প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে প্রধান নগরী ইয়াঙ্গুনসহ দেশটির রাজধানী নেইপিতোতেও জয়লাভ করবে বিরোধী দলীয় প্রার্থীরা। ইতোমধ্যেই হার স্বীকার করে সুচিকে অভিনন্দন জানিয়েছে সরকারি দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)।
 
এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ১৭টি আসনের ফলাফলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৬টিই গেছে সুচির দলের প্রার্থীদের ঝুলিতে।

সরকারপন্থি পত্রিকাগুলোও নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে একে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে অভিহিত করেছে। পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর প্রভাবশালী জেনারেল মিন অং লিয়াং নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে ফলাফলকে সম্মান জানানোর কথা বলেছেন।

দীর্ঘ সামরিক শাসনের পর ২০১১ সালে আধা বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করেন মায়ানমারের সামরিক বাহিনী। তবে দেশটির ক্ষমতা এখনও নিয়ন্ত্রণ করে সামরিক বাহিনী। পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন সামরিক বাহিনীর জন্য সংরক্ষিত।

এছাড়া এই নির্বাচনে জয়লাভ করলেও সুচি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। কারণ দেশটির সংবিধান অনুযায়ী কেউ বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করলে তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে বসতে পারবেন না। সুচির স্বামী ব্রিটিশ এবং তার বাচ্চাদেরও ব্রিটিশ পাসপোর্ট রয়েছে।

এদিকে মায়ানমারের এই নির্বাচনে দেশটির ১৩ লাখ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। এছাড়া দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী অধ্যুষিত প্রদেশগুলোর অধিকাংশ স্থানেই কোনো ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি। এসব এলাকায় স্বাধীনতার জন্য মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৫
আরআই

** মায়ানমারে ১৭ আসনের ফল ঘোষণা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।