ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সিরীয় বিমানঘাঁটিতে রুশ অবস্থানে ড্রোন হামলা নস্যাৎ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৮

ঢাকা: সিরিয়ার উত্ত-পশ্চিমের উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ার কাছের হেমেইমিম বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে শনিবার চালানো এক ড্রোন হামলা নস্যাৎ করে দিয়েছে সেখানে মোতায়েন রুশ বিমানবাহিনী। বেশ ক’দিন আগে একই বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে বিদ্রোহীরা গোলা ও রকেট ছুড়েছিল। তাতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি দুটোই হয়েছিল।

তবে শনিবার হানাদার ড্রোনগুলোকে ভূপাতিত করে ফেলায় কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ৩১ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের অতর্কিত রকেট ও কামানের গোলা হামলাকালে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা যুদ্ধবিমানের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি দুজন রুশ বিমানসেনারও মৃত্যু হয়।

সিরিয়ায় রুশ বিমানবাহিনী বিদ্রোহী দমনের যে উদ্যোগ হাতে নিয়েছে, তাতে এ পর্যন্ত সবচে বড় ভূমিকাটি পালন করেছে এই উপকূলীয় বিমানঘাঁটি। কিছুদিন আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই ঘাঁটিতে হাজির হয়েছিলেন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরীয় মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা (এসওএইচআর) শনিবার ওয়াকেবহাল সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বিরোধী ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠিগুলো দূরনিয়ন্ত্রিত মনুষ্যবিহীন বিমান বা ড্রোন ব্যবহার করে এখানে হামলার চেষ্টা চালায়। কিন্তু রুশ বিমানবাহিনী সে হামলা ব্যর্থ করে দেয়। কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানিরও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

হামলাকারী ড্রোনগুলো খুবই প্রাথমিক পর্যায়ের। এগুলোর কাঠের কাঠামোর সঙ্গে ইঞ্জিন বেঁধে দেওয়া হয়। শনিবার হামলার সময় এগুলো বাড়িতে তৈরি করা দুটো বোমা ছুড়ে মারে।

এ বিষয়ে ওই বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন রুশ বাহিনীর তরফ থেকে কোনো মন্তব্য বা বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, ৩১ ডিসেম্বরের হামলা ও তাতে তাদের ২জন বিমানসেনার নিহত হবার সত্যতা রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীকার করে নিলেও সেখানে কোনো বিমানের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সত্যতা অস্বীকার করে। তারা ৩১ ডিসেম্বরের হামলাকে ‘ইসলামী উগ্রপন্থিদের কাজ’ বলে দাবি করে।

শনিবারের ব্যর্থ ড্রোন হামলার পরপরই রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়, তারা হেমেইমিম ঘাঁটির নিরাপত্তা জোরদার করেছে। ওই ঘাঁটিতে আগে থেকেই বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন থাকায় এটি সব ধরনের হামলা থেকে সুরক্ষিত। কিন্তু ইসলামী জঙ্গিরা ঘাঁটির খুব কাছে এসে মর্টার বা বা স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে প্রায়শই রুশ বাহিনীকে অপ্রস্তুত করে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
জেএম  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।