ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ব্রিটিশ ব্রেক্সিট মন্ত্রীর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৮
ব্রিটিশ ব্রেক্সিট মন্ত্রীর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন

ঢাকা: ব্রেক্সিট মন্ত্রীর পদত্যাগের পর ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগ করেছেন। এরফলে ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগের প্রশ্নকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া এক ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সংকট এখন নতুন মাত্রা পেয়েছে।

বিবিসি জানায়, বরিস জনসন লন্ডনের সাবেক মেয়র।  ২০১৬ সালে ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগের প্রশ্নে যখন গণভোট হয়েছিল তখন বরিস জনসনই ছিলেন ইইউ ত্যাগের সমর্থক শিবিরের প্রধান নেতা।

ওই গণভোটে ইইউ ত্যাগের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়ে। এরপর ওই সময়কার প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেন এবং টেরিজা মে নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়ে বরিস জনসনকে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে তার নতুন ব্রেক্সিট বিষয়ক পরিকল্পনা প্রকাশ করার পর থেকেই তার কনসারভেটিভ পার্টির এমপিদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। বলা হয়, বরিস জনসন এবং তার অনুগামীরা ইইউ থেকে ব্রিটেনের প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছেদের পক্ষে।  যাতে ইউরোপ থেকে অবাধ অভিবাসন এবং ব্রিটেনের ওপর ব্রাসেলসের কর্তৃত্ব বন্ধ হয়। এদের বলা হয় ‘হার্ড বেক্সিট’ গ্রুপ।

>>আরও পড়ুন...পদত্যাগ করলেন ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস

আর অন্য পক্ষকে বলা হয় ‘সফট ব্রেক্সিট’ পক্ষ এরা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার বিরোধী। তারা চান ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন যে সুবিধাগুলো পায় সেগুলো অব্যাহত রাখতে। যাতে তাদের ভাষায় ব্রিটেনে কর্মসংস্থান এবং ইইউ-ব্রিটেন ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তাই গণভোটের পর থেকেই ব্রিটেনে বিতর্ক চলছে যে ব্রিটেন ইউরোপ থেকে কতটুকু আলাদা হবে এবং কিভাবে তার বাস্তবায়ন হবে।

এখন টেরিজা মে ব্রেক্সিটের যে পরিকল্পনা দিয়েছে তার সমালোচনা করে কড়া ব্রেক্সিটপন্থীরা বলছেন, এতে ইউরোপকে খুব সহজে অনেক বেশি ছাড় দেয়া হয়েছে। এরপর প্রথম পদত্যাগ করেন ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডেভিড ডেভিস। তার কথা তিনি এ পরিকল্পনায় বিশ্বাস করেন না। তাই ব্রাসেলসের সঙ্গে ব্রেক্সিটের আলোচনায় নেতৃত্ব দেয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।

এর কয়েক ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেন ব্রেক্সিটের পক্ষের মূল নেতা বরিস জনসন যিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েও টেরিজা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনার সমালোচনা করে চলেছিলেন। কিন্তু সরকার ছেড়ে যাননি।

বিবিসি আরও জানায়, বরিস জনসনের বিদায়ের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এক অপ্রস্তুত এবং কঠিন অবস্থায় পড়ে গেছেন। এরফলে হয়তো কড়া ব্রেক্সিটপন্থী শিবির থেকে মিসেস মে’র নেতৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। তাকে জানানো হয়েছে তিনি তার পরিকল্পনা ত্যাগ না করলে একের পর এক মন্ত্রী পদত্যাগ করবেন।

বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, জনসন এবং ডেভিস সরকারের ডুবন্ত জাহাজ থেকে নেমে গেছেন। মিসেস মে তার দলে ঐক্য আছেন বলে যে বিভ্রম তৈরি করে রেখেছিলেন তা ভেঙে পড়েছে। এ রকম সংকটের মধ্যে টেরিজা মে কিভাবে তার সরকারকে টিকিয়ে রাখেন এটাই এখন দেখার বিষয়।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮ 
এসকে/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।