ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের নির্বাচনে লড়বেন যারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
পাকিস্তানের নির্বাচনে লড়বেন যারা ২০১৮'র নির্বাচনে পাকিস্তানের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৫ জুলাই দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। গত ৩১ মে ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল) সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই নির্বাচন ঘিরে নানা উত্তেজনা বিরাজ করছে দেশটিতে। 

এরইমধ্যে দলটির নেতৃত্বে থাকা নওয়াজ শরিফকে প্রধান মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দানে অযোগ্য ঘোষণার পাশাপাশি কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই দলটি ছাড়াও সামনের নির্বাচনে অংশ নেবে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), পাকিস্তান তাহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

এতে লড়বেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্রোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টোর মতো তরুণরাও।

পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএলএম-এন)
এর আগের নির্বাচনে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বে থাকা পিএলএম-এন জয় লাভ করে। কিন্তু দুর্নীতির মামলায় ফেঁসে এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন নওয়াজ। দলটিকে এবারের নির্বানে নেতৃত্ব দেবেন নওয়াজের ছোট ভাই শেহবাজ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৮’র নির্বাচন হতে চলেছে এই দলটির জন্য টিকে থাকার লড়াই।  

পাকিস্তান তাহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)
ক্রিকেটার থেকে রাজনৈতিক নেতায় পরিণত হওয়া ইমরান খানের নেতৃত্বে থাকা পিটিআই এবারের নির্বাচনে অন্য দলগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেবে বলে মনে করছেন সবাই। দুর্নীতিবিরোধী স্লোগান ও শাসন ব্যবস্থা পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে দলটি। এই দলটি যদি পাঞ্জাব প্রদেশের যথেষ্ট সংখ্যক আসন জিতে নিতে পারে তবে প্রদেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী দল পিএলএমের জন্য দুঃসংবাদ।

পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)
দলটির নেতৃত্বে আছেন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও তার বাবা আসিফ আলি জারদারি। জুলফিকার আলি ভুট্টোর প্রতিষ্ঠিত দলটি আগেও ক্ষমতায় বসেছে। সত্তরের দশকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ভুট্টোকে ফাঁসি দেওয়া হয় সামরিক শাসক জিয়াউল হকের আমলে। একসময় তার মেয়ে বেনজির ভুট্টো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। পরে ঘাতকের গুলিতে নিহত হন তিনি। ২৯ বছরের তরুণ বিলাওয়ালের জন্য এটা প্রথম নির্বাচন। রাজনৈতিক পরিবারটির তিনি তৃতীয় প্রজন্মের সদস্য।

আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি)
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া ভিত্তিক এই জাতীয়তাবাদী দলটির মূল লক্ষ্য প্রাদেশিক সরকারে নিজেদের জায়গা করে নেওয়া। রাজনৈতিক মাঠে দলটির অবস্থান প্রগতিশীলতা ও সেক্যুলারিজমের পক্ষে। তবে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শেষবার ক্ষমতায় থাকাকালীন নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে দলটির বিরুদ্ধে।

মুত্তাহিদা কাউমি মুভমেন্ট (এমকিউএম)
প্রায় তিন যুগ ধরে এমকিউএম ছিল পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ও বাণিজ্যিক শহর করাচির একমাত্র দৃশ্যমান রাজনৈতিক শক্তি। এই রাজনৈতিক সংগঠনকে করাচির সব রাজনৈতিক সন্ত্রাস ও গোষ্ঠীদ্বন্দের জন্য দায়ী করা হয়। এবারের নির্বাচনে করাচির ক্ষমতা ধরে রাখতে দলটিকে লড়তে হবে পিটিআই, পিপিপি, পিএসপিসহ বেশ কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে।

মুত্তাহিদা মজলিস ই আমল (এমএমএ)
জামিয়াত-ই-উলেমা ইসলাম (জেইউআই-এফ), জামায়াত-ই-ইসলাম (জেআই)সহ বেশ কয়েকটি ডানপন্থি ধর্মীয় রাজনৈতিক দল একত্রে গঠন করেছে এমএমএ। দলটির মূল লক্ষ্য খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ।

পাখতুনখোয়া মিল্লি আওয়ামি পার্টি (পিকেএমএপি)
পাশতুন জাতীয়তাবাদী দলটি মূলত বালুচিস্তান প্রদেশে স্বক্রীয়। গত মেয়াদী ক্ষমতাসীন প্রাদেশিক সরকারের শরিক ছিল এই জোট।

আওয়ামি ওয়ার্কারস পার্টি (এডব্লিউপি)
বামপন্থি দলটি তুলনামূলক নতুন ও ছোটখাট। কঠোরনীতির বিরোধিতা করে এবারের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চালিয়েছে দলিটি।

নির্বাচনে অনেকে স্বতন্ত্রভাবে অংশ নেবেন। এদের বেশিরভাগই গত মেয়াদের ক্ষমতাসীন দল পিএলএমের সাবেক সদস্য। এছাড়াও আছেন মেইনস্ট্রিম রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবহীন তরুণরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।