ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতে ‘মি-টু’ ঝড়ের কবলে যারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
ভারতে ‘মি-টু’ ঝড়ের কবলে যারা যাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ, তাদের তালিকার একটি স্ক্রিনশট

ঢাকা: ভারতজুড়ে চলতে থাকা ‘মি-টু’ ঝড়ের কবলে পড়েছেন দেশটির প্রতিষ্ঠিত অনেক ব্যক্তি। মন্ত্রী, বলিউড ও কৌতুক অভিনেতা, সাংবাদিক, লেখক, পরিচালক থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দেশটিতে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

যাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে, তার একটি তালিকা ইতোমধ্যেই তৈরি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সেটির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো-

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবর
যৌন নিপীড়নের এই অভিযোগের তালিকায় আছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবর।

তার বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন প্রিয়া রমণী নামে এক সাংবাদিক। ২০১৭ সালে ভোগ পত্রিকায় একটি কলামে এমজে আকবর সম্পর্কে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলেন এ সাংবাদিক। তিনি এতে এও অভিযোগ করেছিলেন, তিনি শুধু একা নন, একাধিক নারীর সঙ্গেই আপত্তিকর আচরণ করেছেন বিজেপি নেতা এমজে আকবর।

অলোক নাথ
‘হ্যাশ ট্যাগ মি-টু’ ক্যাম্পেইনে হয়রানির অভিযোগ আছে অভিনেতা অলোক নাথের বিরুদ্ধে। চিত্রনাট্যকার, পরিচালক ও প্রযোজক বিনতা নন্দা তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ১৯ বছর আগে জি টিভির অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘তারা’র শুটিংয়ে সেটের অভিনেত্রী নবনীত নিশানকে নানাভাবে হয়রানি করতেন অলোক নাথ। আর সেটা দেখেছেন বিনতা নন্দা। ‘তারা’ সিরিয়ালের চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক ছিলেন বিনতা নন্দা।

নানা পাটেকর
এই অভিযোগের তালিকায় আছেন অভিনেতা নানা পাটেকও। ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ নামের একটি ছবির শুটিং সেটে অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের শরীরে নোংরাভাবে হাত রেখেছিলেন তিনি।

বিকাশ বেহেল
‘কুইন’ ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফ্যান্টম ফিল্মসের একজন সাবেক কর্মী বিকাশ বেহেলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আছে। চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত তার বিরুদ্ধে এনে বলেছিলেন, কোনো অনুষ্ঠানে দেখা হলে তাকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে বিকাশ নানাভাবে যৌন হয়রানি করতেন।

বিনোদ দুয়া
যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে সাংবাদিক বিনোদ দুয়ারের নাম। তথ্যচিত্র পরিচালক নিষ্ঠা জৈন ফেসবুকে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন।

বিনোদ দুয়া, দ্য ওয়ারের কনসালটেন্ট এডিটর এবং তিনি ‘জনগণ মন কি বাত’ নামে একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালক।

সুহেল শেঠ
মি-টু’ মুভমেন্টে যৌন হয়রানির অভিযোগে নামে এসেছে সেলিব্রিটি কনসালটেন্ট সুহেল শেঠ। সুহেলের বিরুদ্ধে এ তুলে সরব হয়েছেন চার নারী। তার মধ্যে একজন হলেন পরিচালক নাতাশা রাঠৌর।

উৎসব চক্রবর্তী
‘স্ট্যান্ড-আপ’ কমেডিয়ান উৎসব চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন  একাধিক নারী। উৎসবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজের নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন নারীদের পাঠাতেন। আর নারীদের কাছে তাদেরও নগ্ন ছবি চাইতেন।

সাজিদ খান
পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন একাধিক নারী। তাদের মধ্যে অভিনেত্রী সালনি চোপড়া, সিমনান সুরি এবং সাংবাদিক কারিশমা উপাধ্যায় অন্যতম।

জুলফি সৈয়দ
মডেল জুলফি সৈয়দের বিরুদ্ধে এ হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন এক নারী ফটো সাংবাদিক। যদিও অভিযোগের পরের দিন তিনি তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন।

গুরসিমরান খাম্বা
কমেডিয়ান গুরসিমরান খাম্বার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন এক নারী। তিনি অভিযোগে বলেন, গুরসিমরান জোর করে আমাকে চুমু খেয়েছেন।

রঘু দীক্ষিত
এক নারী শিল্পী যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন রঘু দীক্ষিতের বিরুদ্ধে। স্টুডিও’র ভেতরে গান রেকর্ডিংয়ের সময় তিনি জোর করে ওই নারীকে চুমু খেতে চেয়েছিলেন।

অভিজিৎ ভট্টাচার্য
গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের বিরদ্ধেও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ- তিনি কলকাতার এক ফ্লাইটে বিমানবালার সঙ্গে নোংরা আচরণ করেছিলেন।

কৈলাস খের
গায়ক কৈলাস খেরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন নারী আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক নাতাশা হেমরাজানি। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় কৈলাস না-কি তার শরীরে নানাভাবে হাত রেখেছিলেন। এছাড়া গায়িকা সোনা মহাপাত্রও অভিযোগ করেছেন তার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, একটি অনুষ্ঠান নিয়ে কথা বলতে ক্যাফেতে বসেছিলাম কৈলাসের সঙ্গে।  সেদিন তিনি আমার শরীরে হাত রেখে বলতে থাকেন, তুমি কতো সুন্দর! 

কঙ্গনা রনৌত
যৌন নির্যাতনের পাল্টা অভিযোগ উঠেছে কঙ্গনার বিরুদ্ধেও। অভিযোগ করেছেন বলিউড অভিনেতা অধ্যয়ন সুমন।


রজত কাপুর
অভিনেতা ও চলচ্চিত্রকার রজত কাপুরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন অনেক নারী।

‘মি-টু’র তালিকায় আরও রয়েছেন- লেখক চেতন ভগত, কমেডিয়ান কানন গিল, অভিনেতা পিয়ুষ মিশ্র, লেখক শচিন গার্গ, সাংবাদিক ময়ানাক জৈন, কে আর শ্রীনিবাস, ফাহাদ শাহ, প্রশান্ত ঝা, সাতদরু ওঝা, গৌতম অধিকারী, যশরাজ ফিল্মের বিজনেস হেড আশিস পাটিল, অর্নিবান ব্লা, পরিচালক বিবেক আগ্নিহোত্রী, ফিল্ম প্রযোজক গৌরং দোশি, সুরেশ রাঙ্গরাজান, বিসিসআই সিইও রাহুল জোহরি, কমেডিয়ান আদিতি মিত্তাল, পরিচালক সুভাষ ঘাই, অ্যাকশন পরিচালক শম কশাল ও কন্টেন্ট হেড অজিত ঠাকুর।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
এপি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।