মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) প্রকাশিত এ প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, তাদের আঞ্চলিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে কয়েকটি জায়গায়, যেমন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায় চীন। আর সেজন্য চীনারা গত কয়েক বছর ধরে সামরিক শক্তির সংস্কার করছেন।
‘চীনের সামরিক শক্তি’ শিরোনামের এই মার্কিন প্রতিবেদনটি বলছে, বেইজিংয়ের দীর্ঘদিনের আগ্রহ তাইওয়ানকে তাদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনরেকত্রীকরণে বাধ্য করা। সেইসঙ্গে তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঘোষণার যেকোনো প্রচেষ্টাকে চীন বাধা দেবে। আর সেটাই চীনের সামরিক শক্তি আধুনিক করার প্রাথমিক লক্ষ্য।
চীনের আশঙ্কা তাইওয়ানে হস্তক্ষেপ করা হলে এটা মোকাবিলা করতে বিদেশি বাহিনী যোগ দিতে পারে। তাই চীন বিদেশি আঞ্চলিক শক্তিকে রোধ এবং তাইওয়ানের শক্তি বৃদ্ধিতে বাধা হিসেবে কাজ করছে সুকৌশলে।
এদিকে, চীনা সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে এমনটি বোঝা যাচ্ছে যে- তাইওয়ান নিয়ে চীনের সামরিক বাহিনীর পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করবে না বা নৈতিক সমর্থন দেবে না।
সরকারিভাবে চীনা প্রজাতান্ত্রিক অঞ্চল তাইওয়ান। চীনের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত পূর্ব এশিয়ার এ দ্বীপ অঞ্চলটি। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দ্বীপপুঞ্জগুলো চীনা প্রজাতন্ত্রের অধীনে চলে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
টিএ