অস্ট্রেলিয়ার ক্যানাবেরা অঞ্চলের এফবিআই এজেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের দুই মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার তদন্তে সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। সুযোগ পেলে আমরা নিউজিল্যান্ডের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে চাই।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই আন্তর্জাতিক যে কোনো সংস্থা বা সহযোগীদের সন্ত্রাস, অপরাধ দমনে সব সময়ে সহযোগিতা দিয়ে থাকে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩০ মিনিটে ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে অবস্থিত ডিনস অ্যাভ মসজিদ ও লিনউড মসজিদে এবং আরেকটি স্থানে সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে অন্তত ৪৯ জন নিহত হন। এদের মধ্যে তিন বাংলাদেশিও রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪৯ জন। এদের মধ্যেও একাধিক বাংলাদেশি আছেন। তবে বর্বরোচিত হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান দেশটিতে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হামলার এ দিনটিকে ‘দেশের সবচেয়ে অন্ধকার দিনগুলির মধ্যে’ একটি বলে অভিহিত করেছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, নামাজ শুরুর ঠিক ১০ মিনিট পর অন্তত দুই বন্দুকধারী দু’টি মসজিদে গিয়ে সেজদারত মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এরপর জানালার কাচ ভেঙে হামলাকারী পালিয়ে যায়। উভয় মসজিদেই ৩০০ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলাকারী দু’জন সামরিক পোশাক পরে মসজিদ দু’টিতে ঢোকে। এরপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল তাক করে নির্বিচারে গুলি করতে থাকে। একজন হামলাকারী তার মাথায় ক্যামেরা স্থাপন করে, তা লাইভস্ট্রিম করে। হামলার ভয়াবহতা ভিডিও গেমসের চেয়েও বর্বরোচিত মনে হয়েছে অনেকের কাছে।
হামলার ঘটনায় এক নারীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের মৌলবাদী মানসিকতার লোক বলে জানা গেছে।
হামলার পর ক্রাইস্টচার্চে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আক্রান্ত মসজিদ দু’টিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত জনসাধারণকে সেখানে প্রবেশ না করতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, হামলার পর ক্রাইস্টচার্চের সব স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বিশ্ব নেতারা তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
এএ