ক্রাইস্টচার্চে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তাদের অনলাইন স্টোর থেকে গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করেন হামলাকারী অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। তবে মসজিদে হামলায় ব্রেন্টন যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছেন তা তার কাছে আমাদের এখান থেকে বিক্রি করা হয়নি বলেও দাবি করেন ওই ব্যক্তি।
গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অর্ধশত মুসল্লিকে হত্যা করেন ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টন। এরইমধ্যে আদালতে হাজির করে তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। কোনো ধরনের আবেদন ছাড়া রিমান্ডে নেওয়া ব্রেন্টনের বিরুদ্ধে আরো বেশ কয়েকটি অভিযোগ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গান সিটির স্বত্ত্বাধিকারী ডেভিভ টিপ্পিল বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত তিনি (ব্রেন্টন) চারটি অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্রয় করেছেন। তবে তিনি হামলায় অত্যাধুনিক ‘এমএসএসএ’ যে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রটি ব্যবহার করেছেন তা আমরা তার কাছে বিক্রি করিনি।
ব্রেন্টনকে তিনি অস্ত্রের নব্য লাইসেন্সধারী হিসেবেও উল্লেখ করেন।
এদিকে মসজিদে হামলার পর দেশের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনার কথা বলেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডান।
নিউজল্যান্ডের মোট জনসংখ্যা ৫০ লাখ হলেও ১২ লাখ মানুষেরই বৈধ অস্ত্র রয়েছে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
জেডএস