ঢাকা, রবিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ জুন ২০২৪, ১৫ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ম্যাক্স দুর্ঘটনায় ৭৩৭ উৎপাদন কমালো বোয়িং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৯
ম্যাক্স দুর্ঘটনায় ৭৩৭ উৎপাদন কমালো বোয়িং বোয়িংয়ের৭৩৭ মডেলের প্লেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ইন্দোনেশিয়া ও ইথিওপিয়ায় বোয়িংয়ের ‘৭৩৭’ মডেলের প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার পর এ মডেলের প্লেন গ্রাউন্ড করেছে বিশ্বের বহু দেশ। শুধু তাই নয়, এ মডেলের প্লেনের উৎপাদনও কমিয়ে দিয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িং।

এক বিবৃতিতে উৎপাদন কমানোর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বোয়িং।

বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, প্রতি মাসে এ মডেলের ৫২টি প্লেন উৎপাদন করতো বোয়িং।

তবে এখন তা কমিয়ে ৪২-এ আনা হয়েছে।  

বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেনিস মুইলেনবার্গ বলেন, এ মডেলের প্লেনে যে ঝুঁকি রয়েছে, আমাদেরই দায়িত্ব তা অপসারিত করা। আমরা জানি কিভাবে তা করতে হয়।

তিনি বলেন, এ মডেলের প্লেনের অ্যান্টি-স্টল সিস্টেম  (এমসিএএস সফটওয়্যার) আপডেটে কাজ করছে বোয়িং। পাশাপাশি ম্যাক্স চালকদের জন্য নতুন করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।

জানা যায়, বোয়িংয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া ও সর্বাধিক বিক্রিত প্লেনটি হলো ‘৭৩৭ ম্যাক্স৮’।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এ মডেলের প্লেনের অ্যান্টি-স্টল সিস্টেমে ক্রুটি থাকায় বর্তমানে সেগুলো গ্রাউন্ড করে রাখা হয়েছে।

গত মার্চে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার বোলে বিমান বন্দর থেকে ইথিপিয়ান এয়ারলাইন্সের ‘৭৩৭ ম্যাক্স’ মডেলের প্লেনটি উড্ডয়নের ৬ মিনিট পরই বিধ্বস্ত হয়ে এর ১৫৭ আরোহীর সবাই নিহত হন।

এর পাঁচ মাস আগেই ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের এ মডেলের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে প্লেনে থাকা ১৮৯ জন আরোহীর সবাই নিহত হন।

প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, বিধ্বস্ত হওয়া দু’টি প্লেনের পাইলটরাই প্লেন দু’টির অ্যান্টি-স্টল সিস্টেম নিয়ে ঝামেলায় পড়েছিলেন। যার ফলে প্লেন দু’টি খাড়াভাবে অবতরণ করতে হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়ঃ ১২৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।