দূতাবাসটিতে ইকুয়েডরের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল হয়ে গেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে লন্ডনের কেন্দ্রীয় পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ইকুয়েডর সরকার অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে নিলে এ পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ পুলিশ কর্মকর্তারা লন্ডনে অবস্থিত দক্ষিণ আমেরিকান দেশটির দূতাবাস থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।
এ নিয়ে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনো মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে বলেছেন, আন্তর্জাতিক এবং দৈনন্দিন রীতিনীতি বারবার লঙ্ঘন করেছেন অ্যাসাঞ্জ। যে কারণে তার রাজনৈতিক আশ্রয় স্থগিত করার মতো ভালো একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪৭ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ প্রায় সাত বছর ধরে ওই দূতাবাসের ভেতরে ‘বন্দি অবস্থায়’ ছিলেন।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাবিদ টুইটে বলেছেন, প্রায় সাত বছর হয়ে গেলো জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ পালিয়ে ইকুয়েডরিয়ান দূতাবাসের ভেতরে আটকে আছেন। আমি এখন নিশ্চিত করতে পারি অ্যাসাঞ্জ এখন লন্ডন পুলিশ হেফাজতে। তিনি এখন যুক্তরাজ্যের বিচারের মুখোমুখি হবেন।
এসময় মন্ত্রী এ কাজে সহযোগিতা করার জন্য ইকুয়েডরকে ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে তিনি ব্রিটিশ মেট্রোপুলিশকেও ধন্যবাদ জানান তাদের পেশাদারিত্ব দেখানোর জন্য।
সাজিদ জাবিদ এও বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউই নন।
অ্যাসাঞ্জ ২০১২ সাল থেকে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয়ে ছিলেন। ইকুয়েডর সেখানে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিল। সুইডিশ কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উত্থাপন করার পর তিনি এ দূতাবাসে আশ্রয় নেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল সেসময় থেকেই। এ নিয়ে কয়েক দেশের মধ্যে বিতর্ক ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার কুইনসল্যান্ডে জন্ম নেওয়া জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জ একজন প্রোগ্রামার, যিনি আলোচিত প্রচার সংস্থা উকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ‘গোপন নথি ফাঁস’ করে বিশ্বব্যাপী আলোচিত ও সমালোচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
টিএ