বিরোধী দলের এমপিরা বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিয়ে প্রক্রিয়াটি আটকাতে এমনকি ব্রেক্সিট দেরি করাতে পার্লামেন্ট অধিবেশনে নিজেদের তৈরি করা একটি আইন পাস করানোর চেষ্ঠা করছেন।
সাময়িক স্থগিত থাকার পর মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) আবার শুরু হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট অধিবেশন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, বেক্সিট কর্মসূচির নিয়ন্ত্রণ রাখতে ক্ষমতাসীন দলের ২১ এমপি বিরোধী দলের সঙ্গে গিয়ে যোগ দিয়েছে। আর এতে মঙ্গলবার কমন্সে ৩২৮ আর ৩০১ ভোটের ব্যবধানে হেরে যায় সরকার। এর অর্থ হলো- তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ায় বিলম্ব করার জন্য একটি বিল উপস্থাপন করবেন। বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) তারা বিলটি উপস্থাপন করতে পারেন। বিলে তারা ব্রেক্সিট কার্যকরে সময়সীমা ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেন।
যদিও আগামী ৩১ অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার দিনক্ষণ নির্ধারিত রয়েছে। যা নিয়ে এখন ব্রিটেনের রাজনীতিতে তুমুল উত্তেজনা।
ভোটের জবাবে বরিস জনসন বলেন, শিগগির একটি সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তাব আনবো। তখন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে বিলটি পাস করা উচিত।
মঙ্গলবার অধিবেশনে ক্ষমতাসীন দলের ২১ বিদ্রোহী এমপির মধ্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরাও ছিলেন।
ভোটের পরে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে, ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী এমপিদের হুইপ সরিয়ে ফেলবেন। এছাড়া কার্যকরভাবে সংসদীয় দল থেকে তাদের বহিষ্কার করা হবে। যদিও এই বহিষ্কারের কিংবা আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠান করার হুমকি বিদ্রোহীদের লাইনে আনতে পারবে বলে আশা করছে না প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
টিএ