বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) কায়রোয় এক বন্ধুর সঙ্গে গাড়ি চালানোর সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন আব্দুল্লাহ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গত জুন মাসেই ‘একইভাবে’ মারা যান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মিশরের সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকারের বরাত দিয়ে তখন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ‘আদালতের এজলাসে হঠাৎ পড়ে গিয়ে’ মারা যান মুরসি। পরে বলা হয়, তিনি হার্ট অ্যাটাক করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরব বসন্তের ঢেউয়ে ২০১১ সালের এপ্রিলে স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন হলে পরের বছর ২০১২ সালের নির্বাচনে জয় লাভ করে প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মুরসি। কিন্তু তার রাষ্ট্র পরিচালনায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্যান্য বিরোধীরা বিক্ষোভ শুরু করলে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়।
এই সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ৩ জুলাই মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে কারাবন্দি করা সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ এল সিসিই এখন মিশরের প্রেসিডেন্ট।
মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তার দল ব্রাদারহুডের প্রধান মোহাম্মদ বদিসহ প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। ধরা হয় মুরসির পরিবারের সদস্য ও স্বজনদেরও। সহিংসতা, জেল ভাঙা, নাশকতা, রাষ্ট্রদ্রোহসহ নানা অভিযোগের মামলায় বিচার চলতে থাকে তাদের। অনেকের মৃত্যুদণ্ডও হয়েছে। নিষিদ্ধঘোষিত হয়েছে ব্রাদারহুডও।
মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধেও সহিংসতায় উস্কানি ও বিরোধীদের হত্যা, জেল ভাঙা, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয় এবং এসব মামলায় তার বিচার চলছিল। গুপ্তচরবৃত্তির মামলায়ই আদালতে তোলা হলে ‘আকস্মিক মৃত্যু’ হয় তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
এইচএ/