টোকিওর ‘ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি’র তথ্য মতে, ফ্যাক্সাইয়ের কারণে প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দেশটির কয়েকটি টেলিভিশনে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি পেট্রোল স্টেশনের বিশাল ছাদ ধসে পড়ছে।
জাপান সরকার কানাগাওয়া, শিজোকো ও টোকিও এলাকার প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে এসব এলাকার রেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফ্যাক্সাই বর্তমানে ২৫ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে জাপানের উত্তর দিকে সরে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি বাড়িয়ে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানবে।
ফ্যাক্সাই’র কারণে সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি এবং বন্যার হুমকির কথা জানিয়ে আগেই দেশটির জনগণকে আগেই সাবধান করেছিল জাপান সরকার।
বৃষ্টিপাত ও বাতাসের গতি রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে, এই শঙ্কায় আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে টোকিওর হাজারো বাড়িঘর খালি করতে বলা হয়েছিল।
ঝড়ের পূর্বাভাস জাপানের চলাচল ব্যবস্থাকেও স্থবির করে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০০ বুলেট ট্রেন ও ১০০ ফ্লাইট বাতিলের তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) উত্তর কোরিয়ায় আলাদা একটি টাইফুন আঘাত হানে। এতে ৫ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া দেশটির ৪৬০ বর্গ কিলোমিটার কৃষিজমি বন্যায় প্লাবিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এমএইচএম