লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের রামিয়েহ সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূপাতিত হওয়া ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ বর্তমানে হিজবুল্লাহর কাছে রয়েছে।
এদিকে ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও হিজবুল্লাহর হামলায় তা ঘটেছে, এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। তারা জানায়, নিয়মিত মহড়ার অংশ হিসেবে উড্ডয়নকালে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে লেবানন সীমান্তের ভেতর ছোটো একটি ড্রোন ভূপাতিত হয়। এটি উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো বড় ঘটনা নয়।
গত মাসে বৈরুতে আত্মঘাতী ড্রোন হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে লেবানন। এছাড়া প্রায়ই ইসরায়েলি ড্রোন লেবাননের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে বলে অভিযোগ করে আসছে বৈরুত। এসবের জেরে সম্প্রতি লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। অনেকে এতে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ারও আশঙ্কা করেন।
হিজবুল্লাহর নেতা সৈয়দ হাসান নাসারাল্লাহ ওই দিনের সংঘাতকে তাদের দিক থেকে নতুন পর্যায়ের প্রতিরোধ বলে অভিহিত করেন। তিনি জানান, এখন থেকে নতুন এক যুদ্ধক্ষেত্রের সূচনা হলো, এখান থেকে লেবাননের আকাশে অনুপ্রবেশ করা ইসরায়েলি ড্রোন প্রতিহত করা হবে। এর দায়িত্ব দেওয়া হলো হিজবুল্লাহ কমান্ডারদের হাতে। ইসরায়েলের কোনো গুপ্তচর ড্রোন ছাড় পাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এইচজে/এইচএ