ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

৯/১১: পশ্চিমাদের ওপর আরও হামলার আহ্বান আল কায়েদার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
৯/১১: পশ্চিমাদের ওপর আরও হামলার আহ্বান আল কায়েদার!

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার দেড় যুগ পূর্তি উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, ইসরায়েল ও রাশিয়ার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে মুসলিমদের আরও হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বর্তমান আল কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি এ আহ্বান জানান। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।


 
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চরমপন্থী পর্যবেক্ষক সংস্থা এসআইটিই ইনটেলিজেন্স গ্রুপ একটি প্রতিবেদনে জানায়, টুইন টাওয়ার হামলার ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেছে আল কায়েদা। ৩৩ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের ভিডিওটি তৈরি করেছে সংগঠনটির মিডিয়া ফাউন্ডেশন আস-সাহাব।  

ভিডিওতে ৬৮ বছর বয়সী জাওয়াহিরি জিহাদের পথ থেকে সরে যাওয়া জিহাদিদের সমালোচনা করেন। সাবেক জিহাদিদের অনেকেই  ৯/১১ এর হামলায় নির্দোষ মানুষজন হতাহতের ব্যাপারটিকে অগ্রহণযোগ্য মনে করেন। তাদের উদ্দেশে আল কায়েদা প্রধান বলেন, আপনারা যদি চান, জিহাদ কেবলমাত্র সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করুক। সেক্ষেত্রে পূর্ব থেকে পশ্চিম সারা বিশ্বে আমেরিকান সেনারা আছে। আপনাদের দেশ আমেরিকান ঘাঁটি, ধর্মহীন আর তাদের ছড়ানো দুর্নীতির জঞ্জালে বোঝাই।

চলতি বছরের ২৫ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার দখল করা গোলান হাইটস উপত্যকাকে ইসরায়েলের ভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেন। জাওয়াহিরির বক্তব্যে এর সমালোচনা করা হয়। এতে ভিডিওটি কোন সময়ে ধারণ করা, তা প্রায় স্পষ্ট। এসময় জাওয়াহিরি ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের শহীদের পথ বেছে নেওয়ারও আহ্বান জানান।

২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন সামরিক অভিযানে আল কায়েদার তৎকালীন প্রধান নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর থেকে মিশরীয় আল-জাওয়াহিরিই সংগঠনটির প্রধান নেতা। তিনি বর্তমানে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলের কোথাও আত্মগোপন করে আছেন বলে মনে করা হয়। গত জুলাইয়ে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।

২০০১ সালে নাইন-ইলেভেন হামলায় ৭৮টি দেশের মোট দুই হাজার ৯৯৬ জন নিহত হন। শুধুমাত্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চালানো দুটি বিমান হামলায় প্রাণ হারান দুই হাজার ৭৬৩ জন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর পেন্টাগনে হামলায় নিহত হন উড়োজাহাজের ৬৪ আরোহীসহ ১৮৯ জন। তা বাদেও ৪৪ আরোহীসহ পশ্চিম পেনসিলভানিয়ার একটি ফাঁকা জায়গায় বিধ্বস্ত হয় ছিনতাই করা চতুর্থ উড়োজাহাজটি।

পরবর্তীতে ওই ঘটনার জেরেই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এইচজে/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।