প্রথমে একটি সংবাদমাধ্যমে এক্সক্লুসিভ আকারে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা বিশ্ব গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
খবরে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের আশপাশ থেকে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য বসানো কিছু যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকার রয়েছে যে, সে দেশে কোনো ধরনের গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো হবে না। এ অঙ্গীকার রক্ষায় ইসরায়েল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ’
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি উড়িয়ে দেন। ট্রাম্প বলেন, এটা বিশ্বাস করার মতো ঘটনা নয় যে, ইসরায়েল এ কাজ করতে পারে।
‘আমি প্রতিবেদনটি বিশ্বাস করি না। তবে, সবকিছুই সম্ভব কিন্তু আমি এটা বিশ্বাস করি না। আমার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক খুবই ভালো। এ প্রতিবেদন বিশ্বাস করা আমার পক্ষে খুবই কঠিন। ’
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন ডিসির কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গুপ্তচরবৃত্তির ডিভাইস পান। ২০১৮ সালের মে মাসে প্রথম এ ধরনের ডিভাইস খুঁজে পান তারা। তখন এর পেছনে কারা ছিল তা পরিষ্কার ছিলেন না কর্মকর্তারা। পরে এফবিআইসহ অন্য গোয়েন্দা সংস্থা বিস্তারিত ফরেনসিক গবেষণা চালায়। সেখানে তারা নিশ্চিত হন যে, এসব যন্ত্র বসিয়েছে ইসরায়েল।
এ ডিভাইসগুলি মোবাইল ফোন টাওয়ারের মতো কাজ করে। এর মাধ্যমে টার্গেটকৃত ফোনের (কার্যত ওই ফোনের ব্যবহারকারীর) অবস্থান, পরিচয়, ফোনকল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের তথ্য পাঠাতেও সক্ষম ডিভাইসগুলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
এইচিএডি/এইচএ/