ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিপজ্জনক ছবি তুলে সমালোচনায় দম্পতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
বিপজ্জনক ছবি তুলে সমালোচনায় দম্পতি বিপজ্জনক ছবি তুলে সমালোচনায় দম্পতি

ঢাকা: বিপজ্জনক সেলফি বা ছবি তোলাকে ‘কাণ্ডজ্ঞানহীনতার’ পরিচয় বলে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু কয়জন কাণ্ডজ্ঞানের পরিচয় দিচ্ছেন? প্রায়ইতো দেখা যাচ্ছে জীবন বাজি রেখে খামাখা সামান্য একটি ছবি...। যদিও এসব ছবি ইদানিং মনোযোগ আকর্ষণের বিপরীতে সমালোচনার মুখেই বেশি পড়ছে। এমনই পড়েছেন দু’জন।

মার্কিন এক দম্পতি; ছবি তুলেছেন মনোযোগ সচেষ্ট। বেশ রোমাঞ্চকর।

তবে বিপজ্জনক-বেপরোয়া। এর জন্য তাদেরও পড়তে হয়েছে তুমুল সমালোচনায়। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে দ্রুত ইতিবাচক কিছু পাওয়ার আশায় মৃত্যুর কাছে গেলেও পাচ্ছেন শুধু নিরুৎসাহিত মন্তব্য।

ছবিটিতে দেখা গেছে, দুরারোহ পর্বতের খাড়া বাঁধের শেষ প্রান্থে বসে আছেন কডি ওয়ার্কম্যান নামে এক যুবক। আর তার হাত ধরে এক পা বাঁধে আরেক পা শূন্যে রেখে ঝুলে আছেন তার সঙ্গিনী কেলি ক্যাস্টাইল। যদি হাতটা একটু এদিক-সেদিন হয়, তাহলেই একদম কয়েকশ’ ফুট নিচের পানিতে ডুবতে হবে তরুনীকে। এছাড়া যুবক যে খুব একটা সুবিধায় বসেছেন, তা কিন্তু নয়। সামান্য ব্যবধান হলে বা সঙ্গিনীর একটু উসকানিতে তিনিও পড়তে পারেন কঠিন বিপদের মুখে।

গেল ২৮ আগস্ট জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম ট্রাভেল অ্যাকাউন্ট পজিট্রাভেলিটিতে পোস্ট হয় দম্পতির ছবিটি। এরপর থেকেই তাদের পুড়তে হচ্ছে সমালোচনার আগুনে। যদিও এটাকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না ভ্রমণপ্রিয় দম্পতি। তারা বলছেন, আমরা ভালোবাসি চ্যালেঞ্জ নিতে। ঘুরতে ভালোবাসি। আর এভাবেই জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই।

পেরুভিয়ান অ্যান্ডিসের লাগুনা হুমন্তে এলাকায় ছবিটি তোলা। পোস্ট করার পর মুহূর্তেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা এটিকে ‘দুনিয়া কাঁপানো’ ছবি আখ্যা দেন। পাশাপাশি তুমুল সমালোচনাও করেন। এ পর্যন্ত ছবিটি দেড় হাজারের বেশি মন্তব্য সংগ্রহ করেছে। যার বেশির ভাগই বিব্রতকর।

একজন লিখেছেন, এটি মনোযোগ সচেষ্ট বিষয়। তবে তারা যে দেশে ভ্রমণ করছেন, সেটা সম্পর্কে আমাদের কিছুই দেয় না ছবিটি। আরেকজন লিখেছেন পৃথিবী তোমাদের ডাকছে! আরেক নেটিজেন জিজ্ঞেস করেছেন, কেন তিনি পর্বতের খাড়া বাঁধের শেষ প্রান্থে ঝুলছেন?

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।