শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) স্বতন্ত্র একটি ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এখন থেকে এর মধ্য দিয়ে যে কেউ চূড়ান্ত এনআরসিতে নিজের ও তার পরিবারের অবস্থান জানতে পারবে। এতে যারা এনআরসি থেকে বাদ পড়েছে তাদের তালিকাও রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইনে এনআরসি তালিকা প্রকাশের পূর্বঘোষণা দেন আসাম এনআরসি সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলা। সে সময় তিনি আরও জানান, যারা চূড়ান্ত এনআরসি থেকে বাদ পড়েছে শিগগির তাদের ‘প্রত্যাখ্যান আদেশের প্রত্যয়নপত্র’ দেওয়ার সময় জানানো হবে।
হাজেলা বলেন, চলতি বছরের ৩১ আগস্ট প্রকাশিত চূড়ান্ত এনআরসি তালিকাটি বিস্তারিত না হওয়ায়, অনেকেই পরিবারের প্রত্যেকের তালিকাসহ বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখ থেকে অনলাইনে পুরো পরিবারের তথ্য পাওয়া যাবে।
‘এছাড়া এনআরসিতে বাদ পড়াদের ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যান আদেশের প্রত্যয়নপত্র বিষয়েও অনেকে জানতে চেয়ছেন। এনআরসি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এসব কাগজ সংগ্রহ করা হচ্ছে, যাতে করে শিগগির লোকজন তার মাধ্যমে আপিল জানাতে পারে। ’
গত ৩১ আগস্ট আসামের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ হলে দেখা যায়, ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ তা থেকে বাদ পড়েছে। ১৪ বছর আগে এ তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়। পরে ৪ বছর আগে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতে পুরো দমে তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। সর্বমোট ৩ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৬৬১ জন এনআরসি’র জন্য আবেদন করেন। এর মধ্যে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পান ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন। বাদ পড়েন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
এইচজে