এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তালেবানের সঙ্গে সম্ভাব্য সমঝোতাচেষ্টার ইতি ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে বাতিল করেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও তালেবান নেতাদের সঙ্গে ক্যাম্প ডেভিডে প্রস্তাবিত বৈঠকও।
তবে এতে দমে যাওয়ার পাত্র নয় তালেবানও। তারা মার্কিন সেনা এবং দেশটির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানোর পাল্টা হুমকি দিয়ে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের এ ঘোষণার পর থেকে বড় ধরনের কোনো হামলার ঘটনা এখনো ঘটেনি আফগানিস্তানে। এর মধ্যে খবর বেরিয়েছে, রাশিয়া সফর করেছে তালেবানের একটি দল। দলটি আফগান যুদ্ধের অবসানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সুনজর কাড়তে চায়।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সমঝোতার জন্য তালেবান প্রতিনিধি দল মস্কোতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
খবরে বলা হয়, এদিন তারা রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পর তালেবানের এ ভোল পাল্টানোকে সমর বিশ্লেষকরা বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন।
তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন মস্কোতে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তালেবান প্রতিনিধি দল আফগানিস্তান বিষয়ক রুশ দূত জমির কাবুলভের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল।
এদিকে এ বৈঠককে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের আলোচনা পুনরায় শুরুর বিষয়ে সহযোগিতার করতে প্রস্তুত রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পর ২০০১ সালে আফগানিস্তানে হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর পার হয়ে গেছে ১৮টি বছর। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে শান্তি তো দূরের কথা নিজেদের সেখান থেকে সম্মানজনভাবে ফেরার পথই তৈরি করতে পারেনি। এরমধ্যে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি শক্তি সঞ্চয় করেছে তালেবান গোষ্ঠী। তারা এখন আফগানিস্তানের প্রায় ৭০ শতাংশের মতো নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তান ছাড়তে হবে। আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি জালমাই খালিলযাদের সঙ্গে তালেবানের আলোচনা সেভাবেই এগোচ্ছিল। কিন্তু একটি হামলা বদলে দিলো পুরো দৃশ্যপট।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
এইচএডি/