রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) তিনি ইরানকে দায়ী করে একটি টুইট করেন। বিশ্ববাসীকে ইরানের এ আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানানোরও আহ্বান জানান পম্পেও।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি আরামকোর একটি তেল প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনা ও তেলখনিতে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
তবে এক টুইট বার্তায় হুতিদের এ দাবি খারিজ করে দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার জন্য ব্যবহৃত ড্রোনগুলো যে ইয়েমেন থেকে এসেছে এর চিহ্ন বা কোনো স্পষ্ট প্রমাণ নেই। এটা বিশ্বের জালানি শক্তি সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর অভূতপূর্ব আঘাত। আমরা বিশ্বের সব দেশকে ইরানি এ হামলার প্রকাশ্য নিন্দা জানানোর আহ্বান জানাই। ইরান অবশ্যই এ আগ্রাসনের জন্য দায়ী। ’
সৌদি জালানিমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ হামলার কারণে ওই দুই তেল স্থাপনায় অপরিশোধিত তেল উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও হামলার বিষয়টি জানিয়েছিল সেদিন। মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেছিলেন, আরামকো কোম্পানির আবকাইক ও খুরাইসে অবস্থিত দু’টি স্থাপনায় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে।
২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি আরব ও তার মিত্ররা। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেন থেকে তাদের সেনাদের সরিয়ে নিলে একা হয়ে পড়ে সৌদি আরব। এ সুযোগে ইয়েমেনের হুতিরা সৌদি আরবের তেল, বিমান বন্দর ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে ড্রোন হামলা জোরদার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এইচএডি/