মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে হওয়া নির্বাচনে পার্লামেন্টের সর্বমোট ১২০ আসনের মধ্যে মধ্যপন্থি উদার রাজনৈতিক জোট নীল ও সাদা দল যেখানে পেয়েছে ৩৩ আসন, লিকুদ পার্টি সে জায়গায় নিশ্চিত করতে পেরেছে মাত্র ৩১টি আসন। ফলে লিকুদ পার্টির নেতৃত্বে সরকার গঠনের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে নেতানিয়াহুর।
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ‘নেসেট’-এ মোট আসন সংখ্যা ১২০টি। সংবিধান অনুসারে, সরকার গঠন করতে হলে যে কোনো দল বা জোটকে অন্তত ৬১ আসন নিশ্চিত করতে হবে।
এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গান্টজের উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম একটি ডানপন্থি সরকার গঠন করতে। কিন্তু, হায় নির্বাচনের ফলাফল বলছে যে তা অসম্ভব! বেনি, সেক্ষেত্রে দ্রুত আমাদের একটি বৃহৎ জোট সরকার গঠন করা দরকার। জাতি আমাদের দু’জনকেই বেছে নিয়েছে, যেন আমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করি। ’
এদিকে এখন পর্যন্ত নেতানিয়াহুর এ আহ্বানের কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি বেনি গান্টজ। যদিও, এর আগে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) একটি ‘ভালো ও আশাব্যঞ্জক জোট সরকার’ গঠনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ নেতা। কিন্তু এর আগে নেতানিয়াহু লিকুদ পার্টির নেতৃত্বে থাকা অবস্থায় তাদের সঙ্গে জোটগত কোনো সুরাহা হবে না বলে জানান তিনি।
এদিকে মূল দুই দলের কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করার অবস্থায় না থাকায় এখন তাদের সমমনা দলগুলোকে খুঁজে বের করতে হবে। এরই মাঝে গান্টজ জাতীয়তাবাদী ‘ইসরায়েল বেতিনু’ পার্টি ও বামপন্থি লেবার-গেসার ও ডেমোক্রেটিক ক্যাম্প পার্টির সঙ্গে সরকার গঠনের ব্যাপারে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে নেতানিয়াহু সতর্কতা জানিয়ে বলেছেন, ‘এখন দু’টি বিকল্প রয়েছে, একটি হলো ‘তার নেতৃত্বে সরকার গঠন’, অথবা ইহুদিবিরোধী আরব দলগুলোর ওপর নির্ভরশীল ‘বিপজ্জনক সরকার’ গঠন।
আরও পড়ুন>>> নির্বাচন স্থগিত করতে ‘যুদ্ধ’ বাঁধাতে চেয়েছিলেন নেতানিয়াহু!
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এইচজে/এইচএ