বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সিউলের দক্ষিণাঞ্চলীয় হুয়াসিয়ং শহরে এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী থেকে শুরু করে ৭১ বছরের বৃদ্ধাও রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, নিহতদের অধিকাংশকেই নির্জন জায়গায় নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা বাড়ি ফেরার পথে সিরিয়াল কিলারের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন।
সেই থেকে ৩০ বছর পার হয়ে গেলেও হাল ছাড়েনি পুলিশ। তারা প্রায় ২১ হাজার মানুষকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, অন্তত ২০ হাজার মানুষের আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করা হয়েছে।
শেষপর্যন্ত তাদের দিকে মুখ তুলে তাকান ভাগ্যদেবী! তিন ভুক্তভোগীর শরীর থেকে পাওয়া ডিএনএ পরীক্ষা করে মিল খুঁজে পায় পুলিশ। আর যার সঙ্গে ডিএনএ মিলেছে, তিনি বর্তমানে নিজের এক আত্মীয়কে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জেলে বন্দি আছেন।
তবে, লি চুন জে নামের ওই ব্যক্তি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলেও আইনি জটিলতার কারণে তার মৃত্যুদণ্ড হবে না।
আশির দশকে ঘটা এসব রহস্যময় হত্যাকাণ্ড সাড়া ফেলেছিল গোটা বিশ্বে। এটি নিয়েই তৈরি হয়েছে ‘মেমোরিস অব মার্ডার’ সিনেমাটি। ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমাটিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসের অন্যতম সেরা সিনেমা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
একে