বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোর প্রধান সারিতে।
ইন্দোনেশিয়ার চার সংসদ সদস্যের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, বুধবার পার্লামেন্ট ও সরকার প্রস্তাবিত এ আইনের চূড়ান্ত খসড়ার ব্যাপারে একমত হয়। আগামী সপ্তাহেই দেশটির ডাচ উপনিবেশকালীন আইনের বদলে নতুন এ আইন পাস করা হবে। এর মধ্য দিয়ে ইন্দোনেশিয়ার ধর্মবোধ ও স্বাধীনতার যথাযথ প্রকাশ ঘটবে বলে মনে করে সরকার।
‘প্রসপ্যারাস জাস্টিস পার্টি’র রাজনীতিক নাসির দিজামিল বলেন, সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যায়, এমন যে কোনো আচরণ থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সব ধর্মের নেতাদের সঙ্গেই এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসের আদর্শই ইন্দোনেশিয়ার মূল ভিত্তি।
প্রস্তাবিত এ আইনে বিবাহবহির্ভূত যৌনতার শাস্তি হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা রাখা হয়েছে।
এদিকে প্রস্তাবিত এ আইনের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে আসছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। ‘দ্য ইন্সটিটিউট ফর ক্রিমিনাল জাস্টিস রিফর্ম’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা জানিয়েছে, এক নিরীক্ষামতে, ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ৪০ শতাংশ তরুণ-তরুণীই বিবাহপূর্ব যৌনতার অভিজ্ঞতা লাভ করে। এ আইন পাস হলে দেশটির বিশাল জনগোষ্ঠী কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে পারে বলে সতর্কতা জানিয়েছে তারা।
অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্নের ‘ইন্দোনেশিয়ার আইন, ইসলাম ও সমাজ’ কেন্দ্রের পরিচালক টিম লিন্ডসে জাকার্তা সরকারের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেন, ‘এটি রক্ষণশীলতা, পশ্চাদমুখী। ’
ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রমণ করা পর্যটকদের ক্ষেত্রেও এ আইন বলবৎ হবে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। এক সংসদ সদস্যের বরাত দিয়ে তারা জানায়, যদি পর্যটকদের ক্ষেত্রে এমন কিছুর ব্যাপারে লোক জানাজানি হয়, সেক্ষেত্রে তাদেরও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এইচজে/এইচএ