শুক্রবার (২০ আগস্ট) এসআইটিই’র বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
গত ২০ আগস্ট সউমের কুতুগু অঞ্চলের একটি সেনাক্যাম্পে ওই হামলা হয়।
ওই হামলার পরপরই এক বিবৃতিতে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী জানায়, বর্বরোচিত এ হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে আকাশ ও স্থলপথে ব্যাপক অভিযান চালানো হচ্ছে।
চলতি বছরেই বুরকিনা ফাসোতে ইসলামী চরমপন্থিরা মাথাচাড়া দিয়েছে। সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীকে এখনও দেশটির সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া আল কায়েদা ও আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত এসব গোষ্ঠীর হামলায় এরই মধ্যে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রায় দেড় লাখের মতো মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
এক সময় বুরকিনা ফাসো ছিল শান্ত এক জনপদ। সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ইসলামী চরমপন্থিরা এখানে ঘাঁটি গাড়ে। কয়েক বছর ধরে পার্শ্ববর্তী দেশ মালিতে চলমান জাতিগত সহিংসতাও বুরকিনা ফাসোকে আজকের সহিংস পরিস্থিতিতে নিয়ে এসেছে। ফলে প্রায়ই এখানে হামলার ঘটনা ঘটে।
এসব কারণে গত বছরের ডিসেম্বরে সাউমসহ মালিসংলগ্ন দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বুরকিনা ফাসো সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এইচজে