সোমবার (৭ অক্টোবর) বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) থেকে ইকুয়েডরে জ্বালানিখাতে ভর্তুকি বন্ধের নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
ভর্তুকি বন্ধ কার্যকর হওয়ার দিনই রাজপথে নামে বিক্ষোভকারীরা। তারা দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়। এতে করে সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিকল হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাজধানী কুইতো ও গুয়াকুইল শহরের রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ চলতে থাকে। ওই দুদিনে প্রায় ৩৫০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রথমদিকে বিভিন্ন পরিবহন ইউনিয়ন বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়। বর্তমানে বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীও এর পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে।
উত্তরাঞ্চলের আদিবাসী গোষ্ঠী ‘কায়াম্বি’র নেতা লুইস ইগুয়াম্বা বলেন, আমরা সবার জন্য লড়াই করছি। এ সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না। সবার উচিত এ প্রতিবাদে অংশ নেওয়া। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রাখতে এ বিক্ষোভ চলবে বলে জানান তিনি।
এদিকে জ্বালানি ভর্তুকি বন্ধের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্বাভাবিক হারে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃংখলা বাহিনীর সংঘর্ষে ২৮ পুলিশ আহত হয়েছেন। এছাড়া তারা বিভিন্ন জায়গায় ৫০ পুলিশসদস্যকে আটক করে রেখেছে। তারা পুলিশের গাড়ি ও সরকারি ভবনেও হামলা চালায় বলে জানানো হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরিনো। সরকার বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে নতি স্বীকার করে কোনো সমঝোতা করবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলেও অভিহিত করেন তিনি।
২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসা ৬৬ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট মোরিনো বলেন, জ্বালানি ভর্তুকিতে প্রতি বছর সরকারের ১.৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়। ইকুয়েডরের অর্থনীতির চাকা সচল করতে ও ঋণের বোঝা হালকা করতে ভর্তুকি বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের বেশিরভাগ মানুষ সরকারের এ সাহসী সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছেন বলে দাবি তার।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
এফএম/এইচজে