সোমবার (১৪ অক্টোবর) ওই ৯ নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে সর্বনিম্ন নয় থেকে সর্বোচ্চ ১৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেন আদালত। এর পরপরই রাজপথে নেমে আসে কাতালানরা।
বিবিসি জানায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীরা বার্সেলোনা স্কয়ারে জড়ো হচ্ছে। ২০১৭ সালে এখানেই স্বাধীনতার প্রশ্নে কাতালোনিয়ার গণভোটের প্রস্তাব করা হয়। হুইসেল ও স্লোগানে ওই এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, এটি কোনো বিচার নয় বরং প্রতিশোধ।
এদিকে এ ঘটনায় শহরের প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলছেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রমাণিত হওয়ায় ওই নেতাদের এ সাজা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববাসীর সমর্থন চেয়ে সভা ডেকেছে কাতালোনিয়ার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি।
এছাড়া ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা ও কাতালান ফুটবল ফেডারেশন এ রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে এ সঙ্কট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
দণ্ডপ্রাপ্ত কাতালান নেতাদের মধ্যে রয়েছেন সেখানকার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ওরিয়ল জঁকুরেস। তাকে সর্বোচ্চ ১৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এ নেতা অভিযোগ করে বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শ দমন করতেই স্পেন সরকার ভিন্ন মতাবলম্বীদের কারাগারে আটকে রাখতে চাইছে।
তার মতে, এ রায়ের ফলে স্বাধীনতাকামীদের দাবি আরও শক্তিশালী হবে। আদালতের রায়কে ‘নৃশংস’ অভিহিত করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে এক বার্তায় ‘গণতন্ত্র রক্ষায়’ কাতালান তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এফএম/এইচজে