বিবিসি জানায়, সোমবার (১৪ অক্টোবর) ওই রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে কাতালোনিয়ার রাজধানী বার্সেলোনায় বিক্ষোভে নামে জনতা। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বিমানবন্দর এলাকায় সংঘর্ষ হয় পুলিশের।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বার্সেলোনার ‘এল প্রাত’ বিমান বন্দরে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে বলে খবরে জানানো হয়। ইতোমধ্যে কাতালোনিয়ার বাইরে অন্য অনেক অঞ্চলেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাময়িকভাবে মাদ্রিদ কাতালোনিয়ার প্রশাসনিক দায়িত্ব নিয়েছে।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ দাবি করেছেন, কাতালোনিয়ার অধিকাংশ মানুষ স্বাধীন কাতালোনিয়া চায় না, কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের অভিমত এড়িয়ে গেছে। আদালতের রায়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আন্দোলন ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে দিয়ে সানচেজ বলেন, আইন লঙ্ঘন করা হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকামী সরকার প্রধান কুইম তোরা ৯ নেতাকে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, কাতালোনিয়ার লাখ লাখ নাগরিকের বিরুদ্ধে দেওয়া এ রায় ন্যায় নয় বরং ‘প্রতিহিংসার’। স্বাধীন কাতালোনিয়া গঠনে আমরা নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবো।
ইতোমধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত কাতালান নেতাদের সাজা মওকুফের আবেদন করলেও তা নাকচ করে দিয়েছে স্পেন সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে সানচেজ ও রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ’র সঙ্গে জরুরি আলোচনা সভা ডেকেছেন কুইম তোরা।
এদিকে চলমান বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কাতালোনিয়ার প্রাদেশিক পুলিশ বাহিনী থেকে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় কোনো বিক্ষোভকারীর প্রবেশের চেষ্টাকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
অন্যদিকে আদালত পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলেছেন। আদালত বলেন, এখনই বিক্ষোভকারীদের আটক করার মতো কোনো সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
এফএম/এইচজে