বুধবার (১৬ অক্টোবর) জাপান টাইমস প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। ভয়াবহ শক্তিশালী এই দুর্যোগকে স্মরণকালের সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী টাইফুন হিসেবে অ্যাখা দিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
জাপান টাইমস বলছে, এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে জীবিতদের সন্ধানে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শতাধিক উদ্ধারকর্মী। আবর্জনা সরিয়ে শহরগুলোতে বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার সবধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ে দেশটির ১২টি শহরের প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০ হাজার বাড়ি এখনও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে, যাদের বাড়ি ভেঙে গেছে তারা এখনও আশ্রয়শিবিরে রয়েছেন। তাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে জাপান সরকার।
বাস ও রেলসেবা চালু করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক প্লেন চলাচলও শুরু হয়েছে। কম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
শনিবার (১২ অক্টোবর) জাপানের স্থানীয় সময় রাত ৮টায় উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় উপদ্বীপগুলোতে ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার গতিবেগে আগাত হানে ঘূর্ণিঝড় হাগিবিস।
বলা হচ্ছে- বিগত ৬০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এটি। এর আগে ১৯৫৮ সালে সবশেষ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ক্যানোগাওয়া’ আঘাত হেনেছিল জাপান উপকূলে। সেসময় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত ও নিখোঁজ হয়েছিলেন।
এদিকে, গত মাসেও টাইফুন হেক্সাইয়ের আঘাতে জাপানের কিছু এলাকার প্রায় ৩০ হাজার ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
কেএসডি/টিএ