ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ক্ষতিকর উপাদান থাকায় বেবিপাউডার তুলে নিচ্ছে জনসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
ক্ষতিকর উপাদান থাকায় বেবিপাউডার তুলে নিচ্ছে জনসন

নতুন করে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে ক্ষতিকর অ্যাসবেস্টসের সন্ধান মিলেছে। এ ঘটনায় এরই মাঝে শেয়ারবাজারে উল্লেখযোগ্য হারে দরপতন শুরু হয়েছে এ কোম্পানির বিভিন্ন স্টকের।
 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বেশকিছু বেবিপাউডারের বোতলে অ্যাসবেস্টস মেলায় বাজার থেকে এটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় জনসন অ্যান্ড জনসন।        

এরপরপরই শেয়ারবাজারে জনসন অ্যান্ড জনসনের স্টকে ৬ শতাংশ দরপতন হয়।

বেবিপাউডারে অ্যাসবেস্টসের অভিযোগ ছাড়াও এ প্রতিষ্ঠান বর্তমানে আরও বেশ কিছু আইনি জটিলতার মধ্যে আছে।  

এর আগে ২০০২ সালে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, কয়েক দশক ধরেই জেএনজে জানতো যে, তাদের ট্যালকম পাউডারে অ্যাসবেস্টস আছে। বর্তমানে এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও চলছে। যদিও বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে জেএনজে।  

শুক্রবার এক বিবৃতিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, কঠোর মান যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করা হয় যে, জেএনজের কসমেটিক ট্যাল্ক নিরাপদ। বছরের পর বছর নিজেদের ও ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিন্সট্রেশন’র (এফডিএ) পরীক্ষায় আমাদের পাউডারে অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এমনকি এফডিএ গত মাসের পরীক্ষাতেও এমন কিছু খুঁজে পায়নি। গত ৪০ বছরে একের পর এক হাজার হাজার পরীক্ষায় দেখা গেছে, আমাদের ট্যাল্ক পণ্যে অ্যাসবেস্টস নেই।  

এদিকে বিভিন্ন সময় একাধিক নারী জনসন অ্যান্ড জনসন পণ্যে অ্যাসবেস্টস থাকায় জরায়ু ক্যান্সারের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। কিছু কিছু মেডিক্যাল গবেষণা বলে, দীর্ঘকাল অ্যাসবেস্টসের সংস্পর্শে মেসোথেলিওমা ও ফুসফুস ক্যান্সারের আশঙ্কা থাকে।  

বর্তমানে কেবল অ্যাসবেস্টস সমস্যাই জেএনজের মাথাব্যথার একমাত্র কারণ নয়। চলতি মাসের শুরুতেই পেনসিলভেনিয়ার একটি আদালত এক যুবককে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮ বিলিয়ন ডলার প্রদানের নির্দেশ দেয় এ কোম্পানিকে। ওই যুবকের অভিযোগ ছিল, জেএনজের মনোরোগ ওষুধ ‘রিসপেরডাল’ সেবনের ফলে তার স্তনবৃদ্ধির ঘটনা ঘটে।  

এসবের বাইরে আশঙ্কাজনক হারে আফিম জাতীয় ওষুধে আসক্তি বৃদ্ধির ব্যাপারেও এ জেএনজের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। এসব নিষ্পত্তিতে শত শত কোটি ডলার ব্যয়ভার বহন করতে হতে পারে এ কোম্পানিকে।  

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবারও (১৭ অক্টোবর) বিভিন্ন দেশে নারী ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করে ট্রান্সভ্যাজাইনাল সার্জিক্যাল ম্যাশ যন্ত্রের মার্কেটিং সংক্রান্ত অভিযোগে এ কোম্পানিকে কয়েক মিলিয়ন ডলার জরিমানা গুণতে হয়। অনেক নারীই তাদের এ যন্ত্র ব্যবহারের ফলে আহত হন বলে মামলা করেছেন। এদিন ওহিওর অ্যাটর্নি জেনারেল ডেভ ইয়োসতালসো ঘোষণা দেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য জেএনজে ১১৭ মিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯ 
এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।